লালমনিরহাটে ডিজিটাল সেবা পাওয়ায় ভোগান্তি কমেছে সাধারণ মানুষের। খাস জমির লিজ আবেদন, আদালতের মামলার তথ্য, জমির নামজারীসহ সবধরণের সেবা মিলছে জেলা প্রশাসকের ওয়েবসাইট থেকে।
লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার আবুল হোসেন। ৩০ শতাংশ জমির নামজারী করার জন্য দালালের শরণাপন্ন হয়েছিলেন। খরচ হয়েছে বারো হাজার টাকার। কিন্তু চার মাস ঘুরেও কোনো কাজ হয়নি।
অবশেষে ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারে অনলাইনে আবেদন করে কোন রকম ভোগান্তি ছাড়াই মাত্র ১১শ’ ৭০টাকা ফি দিয়ে নামজারী করেছেন তিনি।
জমির মালিক আবুল হোসেন বলেন, অনলাইনে কাজ করে এক মাসের মধ্যেই আমি আমার জমির কাগজ পেয়ে গেছি। কোনরকম ভোগান্তি আর দালাল ছাড়াই খুব নির্বিগ্নে কাজ করতে পেরেছি।
হাতীবান্ধাসহ লালমনিরহাটের সবগুলো উপজেলাতেই শুরু হয়েছে ই-সেবা। সাধারণ জনগণ সেবা পাচ্ছে জেলা প্রশাসকের ওয়েবসাইট থেকে। এতে কমে এসেছে অনিয়ম দুর্নীতি, দূর হয়েছে দালালদের দৌরাত্ম।
ডিজিটাল সেবা সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে জানাতে ক্যাম্পেইন ও সভা, সেমিনারের আয়োজন করছেন মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।
হাতীবান্ধার সহকারী কমিশনার(ভূমি) শামীমা সুলতানা বলেন, অনলাইন সেবার মাধ্যমে ভুমি সেবায় অনিয়ম যেমন দূর হবে তেমনি জনবান্ধব, স্বচ্ছ এবং স্বল্প সময়ে এ সেবা জনগণকে নিশ্চিন্তে দেয়া যাবে।
স্মার্ট ডিভাইসের মাধ্যমে ঘরে বসে কম সময়ে ঝামেলাবিহীন সেবা নিশ্চিত করতে একে একে সব সেবা ডিজিটালাইজ করার কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক আবু জাফর। তিনি বলেন, আমাদের অফিস থেকে যেসব সেবা দেয়া হয়ে থাকে সেগুলোকে ক্রমান্বয়ে আমরা ডিজিটালাইড করার উদ্যোগ নিয়েছি। যাতে করে মানুষ ঘরে বসে স্মার্ট ডিভাইসের মাধ্যেম এসব সেবা নিতে পারে।
বাড়ছে সেবার বহর, গ্রাম হবে শহর- মুজিববর্ষে এমন প্রতিপাদ্য বাস্তবায়ন করতে জেলা প্রশাসনের এই উদ্যোগ সরকারি সেবা পাওয়া আরো সহজ করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।