[ad_1]
একে কে এল রাহুল এমন ফর্মে, তার উপর ক্রিস গেল ফিরেই যা করলেন, তাতে অন্য দলের ভয় বাড়ল, অনেকটাই।
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ১৭১/৬ (২০)
কিংস ইলেভেন পঞ্জাব ১৭৭/২ (২০)
৮ উইকেটে জয়ী কিংস ইলেভেন পঞ্জাব
একেই বলে টি২০ ক্রিকেট। কে এল রাহুল আর ক্রিস গেইল যেভাবে বধ করলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে তাতে অন্য যে কোনও দলের বুকে ব্যথা শুরু হবে। কারণ, একে কে এল রাহুল এমন ফর্মে, তার উপর ক্রিস গেল ফিরেই যা করলেন, তাতে অন্য দলের ভয় বাড়ল, অনেকটাই।
বিরাট কোহলির ২০০ তম ম্যাচে শুরুটা ভালই করেছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। শুরুতে পাড়িকল ফিঞ্চ জুটি এক ভাল সূত্রপাত উপহার দিয়েছিল দলকে। কিন্তু হঠাৎই খেলার গতির বিরুদ্ধে গিয়ে পাড়িকল লোপ্পা ক্যাচ তুলে দেন পুরনের হাতে। ৩৮ রানে প্রথম উইকেট পড়ে ব্যাঙ্গালোরের। বিরাট কোহলি নামেন তাঁর ২০০ তম ম্যাচে। নেমেই খেলা ধরে নেন তিনি। দেখে মনে হচ্ছিল, বিরাট আজও বড় ইনিংস খেলার মানসিকতা নিয়ে নেমেছেন। দুরন্ত কভার ড্রাইভ, পুল, বিরাটের ব্যাট থেকে বেরিয়ে আসছিল একের পর এক চোখ ধাঁধানো শট। ফিঞ্চ আর বিরাটের মধ্যে একটা পার্টনারশিপ তৈরি হতে হতেই মুরুগান অশ্বিনের বলে কিছুটা বোকা বনে যান ফিঞ্চ। সরাসরি বোল্ড হয়ে ফিরে যান প্যাভিলিয়নে। ৬২ রানের মাথায় পরে দ্বিতীয় উইকেট। একদিকে দাঁড়িয়ে বিরাট কোহলি খেলছিলেন, অন্যদিকে ভালোই সাহায্য করতে শুরু করেছিলেন ওয়াশিংটন সুন্দর। কিন্তু যেন একটা নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে উইকেট পড়া কপালে লেখা ছিল ব্যাঙ্গালোরের। দলের ৮৬ রানের মাথায় ফিরে যান ওয়াশিংটন সুন্দর। সবাই ভেবেছিলেন এবার হয়ত ডেভিলিয়ার্স ব্যাট হাতে নামবেন। কিন্তু এবি–কে পিছিয়ে দিয়ে ব্যাট করতে আসেন শিবম দুবে। কিন্তু কেউই ঠিক মতো দাঁড়াতে পারেননি শেষ পর্যন্ত। অনেকেই ভাবছিলেন ২০০ রান পার করে দেবে ব্যাঙ্গালোর। কিন্তু ডিভিয়ালর্স নেমেই ফিরে যান মাত্র দু’রানের মাথায় পেরেন কোহলিও। তখনও যে খেলা বাকি রয়েছে, এটা ভাবেননি কেউ। অসম্ভবকে সম্ভব করলেন ফিঞ্চ। শেষ ওভারে ২৪ রান নিয়ে দলে পৌঁছে দিলেন ১৭১ রানে। এদিন শামি ও মুরুগন অশ্বিন দুটি করে উইকেট পেয়েছেন।
ময়াঙ্ক আগরওয়াল ও কে এল রাহুলের জুটিও ইনিংস বুঝেশুনেই শুরু করে। তারপর ধীরে ধীরে হাত খুলতে শুরু করেন দু’জনে। পাওয়ার প্লে–এর পুরোটাই সুবিধা নেন দুই ওপেনিং ব্যাটসম্যান। প্রথম ছ’ওভারে ওঠে ৫৮ রান। ৭১ রান পর্যন্ত একটাও উইকেট পড়েনি পঞ্জাবের। প্রথম আঘাত হানেন যজুবেন্দ্র চাহাল। আগের বলে একটা ছয় হজম করার পরের বলেই ময়াঙ্ককে তুলে নেন চাহাল। ব্যাট করতে নামেন ক্রিস গেইল। তার সঙ্গে একদিকে ঝড় তোলেন কে এল রাহুল। পূর্ণ করেন নিজের হাফ সেঞ্চুরি। হাত খুলতে শুরু করেন ক্রিস গেইলও। এতদিন পরে মাঠে নেমেও তিনি যে জাত ভোলেননি তার ঝলক দেখা যায় শুরুতেই। তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি পঞ্জাবকে। কে এল রাহুল আর ক্রিস গেইল দু’জন মিলে বধ করেন বেঙ্গালুরুরে। একেবারে বধ করা যাকে বলে, সেটাই করলেন দু’জন মিলে। গেইল সেরে নেন তাঁর হাফ সেঞ্চুরি। শেষ তিন ওভারে দরকার ছিল ১১ রান। ম্যাচ সহজে বের করে নেয় পঞ্জাব।
[ad_2]