[ad_1]
মনকড়। ক্রিকেটের বাইশগজে এই শব্দটি নিয়ে এখন জোরদার বিতর্ক শুরু হয়েছে।
#কলকাতা: মানকাড। ক্রিকেটের বাইশগজে এই শব্দটি নিয়ে এখন জোরদার বিতর্ক শুরু হয়েছে। গতবার এই মনকড়ের আশ্রয় নিয়ে জস বাটলারকে রান আউট করেছিলেন অশ্বিন। তবে এ বার দিল্লি ক্যাপিটালস ও বেঙ্গালুরুর ম্যাচে ফিঞ্চকে আউট করেননি তিনি। শুধুমাত্র সতর্ক করেছেন। আর এর পর থেকেই ফের শিরোনামে উঠে এসেছে ক্রিকেটের এই নিয়মটি। প্রশ্ন উঠেছে ক্রিকেটের এথিকস নিয়েও। শেষমেশ এ নিয়ে সরব হলেন ভারতীয় অফস্পিনার রবিচন্দ্র অশ্বিন স্বয়ং। তাঁর কথায়, মানকাডের নিয়মটিকে আরও কড়াকড়ি প্রযোজ্য করতে হবে।
মানকাড আউট নিয়ে নিজের জায়গায় দৃঢ় অশ্বিন। সম্প্রতি হ্যালো দুবাইয়া নামে ইউটিউবের একটি প্রোগ্রামে খোলামেলা জবাবও দিয়েছেন তিনি। অশ্বিনের কথায়, ভুলটা ভুলই। কারণ চোর যতক্ষণ পর্যন্ত না তার কাজ নিয়ে অনুতপ্ত হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত চুরি আটকানো কার্যত অসম্ভব। এবং সর্বদা তিনি পুলিশের ভূমিকাতেও থাকবেন না। এ ক্ষেত্রে পন্টিংয়ের অবস্থানকেও গুরত্ব দিয়েছেন অশ্বিন। তাঁর বক্তব্য, এ নিয়ে আইসিসি কমিটির সঙ্গে কথাও বলছেন পন্টিং। যাতে ব্যাটসম্যানের এ ধরনের পদক্ষেপ ধরা পড়লে একটি পেনাল্টির ব্যবস্থা করা হয়। কারণ এর জেরে যে কোনও টিমে রানের সংখ্যা বেড়ে যায়। ফলে একটা দল জয়ের লক্ষ্যে যে কোনও সময় ফারাক গড়ে দিতে পারে।
দিল্লি বনাম বেঙ্গালুরু ম্যাচ নিয়ে ভারতীয় অফ স্পিনারের বক্তব্য, মাঠের একদিকটা বড় ছিল। তাই প্রতিবার ব্যাটসম্যানদের পক্ষে বাউন্ডারি বা ওভার বাউন্ডারি মারাটা খুব সহজ ছিল না। কিন্তু বিরোধী পক্ষে এমন ব্যাটসম্যান ছিল, যাঁরা সিঙ্গলকেও দুই রানে বদলে দিতে পারতেন। বল করতে গিয়ে সেটাই বারবার মনে হয়েছিল। মনে হয়েছিল ফিঞ্চ আগে থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন। আর তাই তাঁকে সতর্ক করতে হয়েছিল।
মানকাড নিয়ে ফিঞ্চকে সতর্ক করার পর রবিচন্দ্র অশ্বিন ট্যুইটও করেন। ট্যুইট বার্তায় তিনি জানিয়েছিলেন, ২০২০ সালের আইপিএল সিজনের জন্য তিনি প্রথম ও শেষবার সমস্ত ব্যাটসম্যানকে সতর্ক করছেন। পরে যেন তাঁকে দোষ না দেওয়া হয়। পরে অবশ্য ফিঞ্চের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্বের কথাটিও উল্লেখ করেন। জানিয়ে দেন পঞ্জাবে তাঁরা একসঙ্গে খেলতেন। তাই ফিঞ্চ তাঁর ভাল বন্ধু।
নিজের মন্তব্যের শেষে অশ্বিনের সংযোজন, এই পোস্টটি উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে কোনও ব্যাটসম্যানের জন্য নয়। উপরন্তু এটি ক্রিকেটের উদ্যম ও সততাকেই সমর্থন করে।
[ad_2]