[ad_1]
এই উচ্চতার কারণেই তাঁকে নানা রকমের ঝামেলায় পড়তে হয়েছে বারবার। তিনি বলেছেন, স্কুলে তাঁকে নানা কথা শোনাতো তাঁর সহপাঠীরা।
পাকিস্তানকে সাধারণত জোরে বোলারের কারখানা বলা যেতে পারে। পৃথিবীর শ্রেষ্ট জোরে বোলাররা পাকিস্তানে জন্ম নিয়েছেন। সেই তালিকায় নিজের নামটা দেখতে চাইছেন ২১ বছরের পাক ক্রিকেটার মুদাস্সির গুজ্জর। ২১ বছর বয়সে তিনি পিসিএল–এর একটি দলের সদস্যপদ পেয়েছেন। লাহোরের হয়ে খেলবেন তিনি। তবে তাঁর স্বপ্ন একদিন জাতীয় পাকিস্তান দলের হয় খেলা।
মুদাস্সিরের বাবা হাসিম মহম্মদ বা মা পরভিনের উচ্চতা স্বাভাবিক মানু্ষের মতোই ছিল। একজনের উচ্চতা পাঁচ ফুটের কাছাকাছি, একনজের পাঁচ ফুট তিন ইঞ্চি। কিন্তু হাইস্কুলে পড়ার সময়েই মুদাস্সিরের উচ্চতা সাত ফুট পেরিয়ে গিয়েছিল। সাধারণ ছাত্রদের মধ্যে উচ্চতম পড়ুয়া ছিল সে। তিনি জানিয়েছেন, একটা সময়ের পর গিয়ে তাঁর মা, বাবা, অত্যন্ত দ্বিধায় পড়ে গিয়েছিলেন এই ভেবে যে ছেলে তো বাড়তেই থাকছে। থামার কোনও লক্ষণ তাঁর মধ্যে নেই। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ায় তিনি বলেন হর্মোনের কারণে এভাবে উচ্চতা বেড়ে গিয়েছে মুদাস্সিরের। এখন, এই ২১ বছর বয়সে তাঁর উচ্চতা গিয়ে দাংড়িয়েছে ৭ ফুট ৬ ইঞ্চি। তারপর আর উচ্চতা বাড়েনি বলেই জানিয়েছেন তিনি।
এই উচ্চতার কারণেই তাঁকে নানা রকমের ঝামেলায় পড়তে হয়েছে বারবার। তিনি বলেছেন, স্কুলে তাঁকে নানা কথা শোনাতো তাঁর সহপাঠীরা। বড় কোনও রিক্সা বা ভ্যানে তিনি বসতে পারতেন না কারণ, তাঁর পা এতটাই বড় যে ব্যথা লাগতে থাকে। এমনকী, নিজের পায়ের মাপে জুতোটাও সময় মতো দোকান থেকে কিনতে পারতেন না তিনি। কারণ, পেতেনই না। অর্ডার দিয়ে বানাতে হত। তবে এখন এই উচ্চতায় প্লাস পয়েন্ট দাঁড়িয়েছে তাঁর। বড় বড় পা থাকার জন্য তিনি এখন জোরে দৌড়তে পারেন। আশা করেন, একদিন পৃথিবীর দ্রুততম বোলার হতে পারবেন।
[ad_2]