ভারতের জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ৯০-এর দশকে নিয়মিত খেলেছেন চ্যাপম্যান ৷
#বেঙ্গালুরু:সোমবার, সপ্তাহের প্রথম দিনের শুরুতেই দুঃসংবাদ ফুটবলপ্রেমীদের জন্য ৷ মারা গেলেন প্রাক্তন ভারতীয় ফুটবলার এবং ইস্টবেঙ্গল-জেসিটি-তে একসময়ে দাপটে খেলে যাওয়া কার্লটন চ্যাপম্যান ৷ মাত্র ৪৯ বছর বয়সেই জীবনাবসান প্রাক্তন ভারতীয় মিডফিল্ডারের ৷
ভারতের জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ৯০-এর দশকে নিয়মিত খেলেছেন ৷ ২০০১-এ খেলা ছাড়ার পর কোচিংও করিয়েছেন চ্যাপম্যান ৷ আজ, সোমবার সকালে বেঙ্গালুরুতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি ৷
১৯৯১ থেকে ২০০১ পর্যন্ত ভারতীয় দলের হয়ে খেলেছেন চ্যাপম্যান ৷ মাঝমাঠে তিনি ছিলেন দলের অন্যতম ভরসা ৷ খেলা ছাড়ার পর ২০০২ সাল থেকে তাঁর কোচিং কেরিয়ার শুরু হয় ৷ টাটা ফুটবল অ্যাকাডেমিতে কোচিং করানোর পাশাপাশি রয়্যাল রেঞ্জার্স, রয়্যাল ওয়াহিংডো, কলকাতার ক্লাব ভবানীপুর এফসি, স্টুডেন্টস ইউনিয়ন, কোয়ার্টজ এফসি-র মতো আরও নানা ক্লাব এবং অ্যাকাডেমিতে কোচিং করিয়েছেন চ্যাপম্যান ৷ ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলেই সকলের নজরে আসেন চ্যাপম্যান ৷ ১৯৯৩-তে এশিয়ান কাপ উইনার্স কাপে ইরাকের ক্লাব আল-জাওয়ারার হয়ে হ্যাটট্রিকও করেছিলেন তিনি ৷
১৯৯৩ থেকে ১৯৯৫ সাল পর্যন্ত ইস্টবেঙ্গলের হয়ে খেলার পর জেসিটি এবং কোচিনের হয়ে খেলেছিলেন চ্যাপম্যান ৷ ১৯৯৮-তে ফের দ্বিতীয়বারের জন্য ইস্টবেঙ্গলে ফিরে টানা তিন বছর আরও লাল-হলুদে খেলেছিলেন বেঙ্গালুরুর এই ফুটবলার ৷ তাঁর অধিনায়কত্বেই ইস্টবেঙ্গল ২০০১ সালে জাতীয় লিগ চ্যাম্পিয়ন হয় ৷
কর্ণাটকের এই মিডফিল্ডার সোমবার ভোর তিনটে নাগাদ কোমরে ব্যথা অনুভব করেন। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বেঙ্গালুরুর একটি হাসপাতালে। সেখানেই ভোর পাঁচটার সময় মৃত্যু হয় তাঁর। চ্যাপম্যানের বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৯ বছর।