[ad_1]
Photo Courtesy: IPLT20.com/BCCI
এই জয়ের ফলে লিগ টেবলে নাইটদের টপকে গেল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ৷
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর: ১৯৪/২ (২০ ওভার)
কলকাতা নাইট রাইডার্স: ১১২/৯ (২০ ওভার)
৮২ রানে জয়ী রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর
ম্যান অফ দ্য ম্যাচ- এবি ডেভিলিয়ার্স
#শারজা: শারজার ছোট মাঠ ৷ টার্গেট তাই যতোই ১৯৫ রানের মতো বড় স্কোর হোক না কেন ৷ লড়াই হবে শেষ বল পর্যন্ত ৷ এমনটা ধরেই রেখেছিলেন কেকেআর সমর্থকরা ৷ বিশেষ করে গত কয়েকটি ম্যাচে কার্তিক ব্রিগেডের পারফরম্যান্স দেখার পর আরসিবির বিরুদ্ধেও সোমবার জিতবে নাইটরা ৷ এমনটাই ছিল আশা ৷ কিন্তু ফ্যানদের সব আশায় জল ঢাললেন কার্তিকরা ৷ রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের বিরুদ্ধে ৮২ রানে হার হজম করল কলকাতা নাইট রাইডার্স ৷
That”s that from Sharjah. #RCB win by 82 runs.#Dream11IPL #RCBvKKR pic.twitter.com/wQV7xlQ9Yi
— IndianPremierLeague (@IPL) October 12, 2020
শারজার পিচ ছিল মন্থর। বল ব্যাটে এসেছে ধীরগতিতে। টাইমিংয়ে তাই সমস্যা হচ্ছিল ব্যাটসম্যানদের। এতদিন শারজায় যে ক’টা ম্যাচ হয়েছে, তাতে শুধু রানের ফুলঝুড়িই দেখা গিয়েছে ৷ এদিন কিন্তু অন্য দৃশ্যই দেখা গিয়েছে ৷ টুর্নামেন্ট যতো এগোচ্ছে মরুশহরের পিচও ততোই স্লো হচ্ছে ৷ ব্যাটসম্যানদের বড় শট নিতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে ৷ তবে মন্থর পিচের সুবিধা এদিন ভালমতো নিতে সফল আরসিবি-র বোলাররা ৷ সাইনি, সিরাজ, চাহাল, ওয়াশিংটন সুন্দর, উদানা প্রত্যেকেই বল হাতে সফল ৷ কেকেআর ব্যাটসম্যানদের মধ্যে এদিন সর্বোচ্চ স্কোর শুভমান গিল (৩৪)-এর ৷ বাকিরা কেউই বলার মতো রান পাননি ৷
টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা সেভাবে রান না পাওয়ায় এদিনও নাইটদের শেষ আশা ছিলেন অ্যান্দ্রে রাসেল এবং অবশ্যই ফর্মে থাকা রাহুল ত্রিপাঠি ৷ একবার পাডিক্কালকে হাতে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যাওয়ার পরও খুব বেশি সময় ক্রিজে থাকতে পারেননি রাসেল (১৬) ৷ ত্রিপাঠিও করেন ১৬ রান ৷ এদিন সুনীল নারিনকে বসিয়ে টম ব্যান্টনকে খেলায় কেকেআর ৷ ওপেন করতে নেমে মাত্র ৮ রান করে প্যাভিলিয়ানে ফেরেন ব্যান্টন ৷ পরপর দুটি ম্যাচ জেতার পর কেন উইনিং কম্বিনেশন এদিন ভাঙতে গেল কেকেআর ম্যানেজমেন্ট ৷ সেই প্রশ্নই এখন তুলেছেন নাইট সমর্থকরা ৷
এদিন টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর করে ২ উইকেটে ১৯৪ রান। দলের বড় স্কোরের পিছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা সেই ‘৩৬০ এবিডি’-রই ৷ এদিন ডেভিলিয়ার্স খেলেন ৩৩ বলে ৭৩ রানের আরও একটি বিধ্বংসী ইনিংস। তাঁর ইনিংসটি সাজানো ছিল পাঁচটি চার ও ছটি ছক্কায়। এবিডি জ্বলে ওঠার ফলেই ব্যাঙ্গালোর স্কোর বোর্ডে ১৯৪ রান তুলতে সফল হয়। অথচ একটা সময়ে কলকাতার বোলারদের বিরুদ্ধে রান তোলার গতি বাড়াতেই পারছিলেন না বিরাট কোহলিরা।
Photo Courtesy: IPLT20.com/BCCI
শারজার পিচ হয়ে গিয়েছিল মন্থর। আর তার সুবিধা নিয়েছিলেন নাগারকোটি, বরুণ চক্রবর্তীরা। তখন মনে হয়েছিল ব্যাঙ্গালোর শিবির খুব বেশি রান করতে পারবে না। কিন্তু ডেভিলিয়ার্স ক্রিজে আসার পরেই চিত্রনাট্য বদলে যায়। কোহলি ও ডেভিলিয়ার্স ৪৯ বলে ১০০ রানের পার্টনারশিপ গড়েন।
সোমবারের ম্যাচ জিতে লিগ টেবলে কেকেআরকে টপকে তিন নম্বরে উঠে এল আরসিবি ৷ বিরাটদের সংগ্রহে এখন ৭ ম্যাচ খেলে ১০ পয়েন্ট ৷ ৮ পয়েন্ট নিয়ে আপাতত চতুর্থ স্থানে নাইটরা ৷
[ad_2]