[ad_1]
এদিন দুবাইয়ে মুখোমুখি হয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। এদিনের প্রথম ম্যাচে আইপিএল তালিকার উপর দিকে থাকা দু’দলই জেতার লক্ষ্য নিয়ে নেমেছিল।
দিল্লি ক্যাপিটালস: ১১০/৯ (২০)
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ১১১/১ (২০)
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স ৯ উইকেটে জয়ী
কখনও কখনও গাড়ি চলতে চলতে পড়ে থাকা পাথরে ধাক্কা খেয়ে উল্টে যায়। দিল্লি ক্যাপিটালসের সেই অবস্থা। প্রথম থেকে দুরন্ত পারফর্মেন্স করেও শেষ পর্যন্ত কেমন নিজের অবস্থানটাই ধরে রাখতে পারল না দল। টানা ম্যাচ জিততে জিততে শেষ পর্যন্ত হারতে শুরু করেছে তারা। এদিন দুবাইয়ে মুখোমুখি হয়েছিল দিল্লি ক্যাপিটালস ও মুম্বই ইন্ডিয়ান্স। এদিনের প্রথম ম্যাচে আইপিএল তালিকার উপর দিকে থাকা দু’দলই জেতার লক্ষ্য নিয়ে নেমেছিল। প্রথমে ব্যাট করতে আসে দিল্লি। কিন্তু প্রথম থেকে যে মেজাজে দিল্লি খেলছিল, তার ধারকাছ দিয়েও যায়নি দিল্লির ব্যাটিং। ট্রেন্ট বোল্ট ও যশপ্রিত বুমরাহর বোলিংয়ের সামনে কিছুটা আত্মসমর্পণ করে দিল্লি। প্রথম ওভারেই শূন্য করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান শিখর ধাওয়ান। তৃতীয় ওভারে শেষ বলে ১০ রান করে ফিরে যান পৃথ্বী শ। শ্রেয়স আইয়ার কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করলেও ১০ ওভারে দলের ৫০ রানের মাথায় তিনিও ফিরে যান। তারপর থেকে আর কেউই মুম্বইয়ের বোলিং অ্যাটাকের সামনে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেননি। ঋষভ পন্থের ২১ ছাড়া বাকিরা পাতে দেওয়ার মতো রানটুকু তুলতে পারেননি বোর্ডে। ফলাফল যা হওয়ার তাই হয়। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১১০ রানে শেষ হয়ে যায় ইনিংস।
এদিন দুর্দান্ত বল করেন ট্রেন্ট বোল্ট এবং বুমরাহ। দু’জনেরই ইকোনমি লোভনীয়। সেই সঙ্গে দু’জনেই নিলেন তিনটি করে উইকেট। সামান্য রান দিয়ে এই উইকেট নেওয়া বুমরাহ এদিন ছিনিয়ে নেন অর্যাঞ্জ ক্যাপ। কুর্লটানায়ার একটি উইকেট ও চাহার একটি উইকেট নেন। সব মিলিয়ে দিল্লির ব্যাটসম্যানরা কোনওভাবেই মাথা তুলেই দাঁড়াতে পারেননি এদিন। সেই কারণেই বোধহয় চিন্তা বেড়েছে রিকি পন্টিংয়ের। টুর্নামেন্টের শুরুটা এত ভাল করেও কেন এমন হচ্ছে? এই উত্তরটিই খুঁজছেন তিনি।
কোনও চাপ না নিয়েই এদিন ব্যাট করতে নামে মুম্বই। এমনিতেই দুরন্ত ফর্মে আছেন ডি’কক আর ঈশান কিষাণরা। সেই আত্মবিশ্বাসই ধরা পড়ল তাঁদের ব্যাটে। প্রথম থেকেই দেখে শুনে খেলতে শুরু করেন দু’জনে। অশ্বিনকে প্রথমেই বল করতে এনে বাঁহাতি দুই ওপেনি ব্যাটসম্যানকে কিছুটা চমকে দিয়েছিল দিল্লি। কিন্তু ঠাণ্ডা মাথার দুই ওপেনার খেলার রাশ কখনই হাত থেকে বেরিয়ে যেতে দেননি। বরং শুরুটা এমন করেছিলেন, মনে হচ্ছিল এই ম্যাচ ১০ রানে জিতে যাবে মুম্বই। কিন্তু ভাগ্যের দোষে এদিন বোল্ড হয়ে ফেরেন ডি’কক। কিন্তু অন্যদিকে তখন স্বপ্ন রচনা করছেন ঈশান কিষাণ। সহজে ১৩ ওভারে মাথায় ১০ রান পেরিয়ে যায় মুম্বই। জয় আসে সহজে। ৭২ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলে ম্যাচ জিতিয়ে নিয়ে যান ঈশান কিষাণ।
[ad_2]