[ad_1]
চেন্নাইয়ের হয়ে বল হাতে এদিন ভেল্কি দেখান এনগিডি। তিনি একাই তুলে নেন তিনটি উইকেট।
কিংস ইলেভেন পঞ্জাব : ১৫৩/৬ (২০)
চেন্নাই সুপার কিংস : ১৫৪/১ (১৮.৫)
চেন্নাই সুপার কিংস ৯ উইকেটে জয়ী
চেন্নাই সুপার কিংস–এর হারানোর কিছু নেই। এবারের আইপিএল থেকে তাঁরা বিদায় নিয়েছে। কিন্তু পাওয়ার আছে কিংস ইলেভেন পঞ্জাবের। সেই মরণ বাঁচন ম্যাচেই রবিবারের প্রথম ম্যাচে আবু ধাবিতে মুখোমুখি হয় দু’টি দল। প্রথমে ব্যাট করতে আসে কিংস ইলেভেন পঞ্জাব। কে এল রাহুল আর ময়াঙ্ক আগরওয়াল শুরুটা ভালই করেছিলেন। প্রথম পাঁচ ওভারে এসে গিয়েছিল ৫০–এর কাছাকাছি রান। কিন্তু এনগিডির বলে প্রথমে ফেরেন ময়াঙ্ক। ৪৮ রানের মাথায় প্রথম উইকেট পরে। তারপর থেকে হঠাৎ নড়বড় করতে শুরু করে পঞ্জাবের ইনিংস। নিয়মিত ব্যবধানে পড়তে থাকে উইকেট। ফিরে যান কে এল রাহুল, নিকোলাস পুরান। তারপর ব্যাট করতে আসেন ক্রিস গেইল। শেষ ম্যাচে তাঁর ইনিংস নতুন করে আশা বাড়িয়ে দিয়েছিল সমর্থকদের। কিন্তু তিনিও ফিরে যান ব্যক্তিগত ১২ রানের মাথায়। ৭২ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে তখন ধুঁকছে পঞ্জাব। ১৬ ওভারে মাত্র ১০৮ রানে পৌঁছয় তারা। কিন্তু তারপরেই খেলা দেখা শুরু করে পঞ্জাব। ব্যাট হাতে দীপক হুডা তাড়াতাড়ি রান তুলতে থাকেন। সেই কারনে শেষ চার ওভারে অনেকটা রান আসে। হুডা ব্যক্তিগত ৬২ রান করেন ৩০ বলে। সেই ইনিংসে ভর করেই পঞ্জাব পৌঁছয় ১৫৩ রানে। মোটামুটি একটা লড়াকু স্কোর খাড়া করে পঞ্জাব।
চেন্নাইয়ের হয়ে বল হাতে এদিন ভেল্কি দেখান এনগিডি। তিনি একাই তুলে নেন তিনটি উইকেট। ইমরান তাহির তুলে নেন ক্রিস গেইলের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট। শেষ চারটি ওভার বাদে এদিন আঁটোসাঁটো বোলিং করেছে চেন্নাই। আর সেই কারণেই ১৫৩ রানে আটকে যায় চেন্নাই।
কলকাতা নাইট রাইডার্স মনে প্রাণে চাইছিল যাতে এদিনের ম্যাচে চেন্নাই জিতে যায়। কারণ নাইট রাইডার্সকে প্লে অফে যেতে হলে আজ চেন্নাইকে জিততেই হত। চেন্নাইয়ের ব্যাটিংয়ের শুরুটা দেখে তাই বোধহয় লাফিয়ে উঠেছিলেন কেকেআর সমর্থকরা। কারণ ঋতুরাজ গায়কোয়াড আর ফাফ ডু’প্লেসি যেভাবে খেলা শুরু করেছিলেন, তাতে খেলা প্রথমেই ঝুঁকে পড়ে চেন্নাইয়ের দিকে। ১৫৩ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে লড়াই করতে হলে পঞ্জাবের প্রথমেই উইকেট তুলে নেওয়া দরকার, এটা সকলেই বলেছিলেন। কিন্তু সেই পথে সাফল্য পাননি শামি, রবি বিষ্ণোইরা। মাঝে একবার একটি ক্যাচ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হলেও আগে পরে অনায়াসে রান তুলেছেন ডু’প্লেসি ও ঋতুরাজ গায়কোয়াড। তারপর দশম ওভারের মাথায় একটি উইকেট তুলে নেয় পঞ্জাব। ডু’প্লেসিকে ফেরান জর্ডন। যদিও খেলা তখনও চেন্নাইয়ের দিকেই ঝুঁকে। ঠাণ্ডা মাথায় ব্যাট করতে থাকেন ঋতুরাজ গায়কোয়াড ও অম্বতি রায়াড়ু। ৫০ রান পূর্ণ করেন ঋতুরাজ। শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ম্যাচ জিতে যায় চেন্নাই।
[ad_2]