[ad_1]
পঞ্চমীর সন্ধ্যায় আরসিবির কাছে গো–হারা হারতে হল কলকাতাকে।
কলকাতা নাইট রাইডার্স : ৮৪/৮ (২০)
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর : ৮৬/২ (১৩.৩)
আট উইকেটে জয়ী রয়্য়াল চ্য়ালেঞ্জার্স ব্য়াঙ্গালোর
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের সামনে এককথায় ল্যাজেগোবরে হল কেকেআর। একটা সময় মনে হচ্ছিল আইপিএল–এর সর্বনিম্ন স্কোরে গুটিয়ে যাবে কলকাতার ইনিংস। সেটা না হলেও যা হল তাতে মুখ পুড়ল কলকাতার। নাইট রাইডার্সের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন স্কোরে গুটিয়ে গেল ইনিংস। পঞ্চমীর সন্ধ্যায় আরসিবির কাছে গো–হারা হারতে হল কলকাতাকে।
এদিন ম্যাচের প্রথম থেকেই দাপিয়ে বোলিং করতে শুরু করে আরসিবি। একদিকে ক্রিস মরিস অন্যদিকে মহম্মদ সিরাজ। এই দুই জোরে বোলারের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি নাইট রাইডার্সের টপ অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা। প্রথম তিন ওভারে চার উইকেট হারিয়ে ওখানেই ম্যাচ হাত থেকে বের করে দিয়েছিল কলকাতা। একে একে তখন ফিরে গিয়েছেন রাহুল ত্রিপাঠী, নীতীশ রানা, শুভমন গিল, টম ব্যান্টন। পাওয়ার প্লে–তে এমন অবস্থা এর আগে কোনও দলের হয়েছে কি না, সেটা অনেক কষ্টে খুঁজে বের করতে হবে বোধহয়। নাইট রাইডার্সের চারজন ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কের রানের ঘরে পৌঁছলেন। ব্যান্টন (১০), মর্গান (৩০), কুলদীপ যাদব (১২), লকি ফার্গুসন (১৯)। এর থেকেই বোঝা যায় কী ভাবে আত্মসমর্পণ করেছেন কেকেআর–এর ব্যাটসম্যানরা।
আলাদা করে বলতেই হবে আরসিবির বোলিংয়ের কথা। এতটা আগুন ঝরানো বোলিং এবারের আইপিএল–এ দেখাই যায়নি। এদিনেপ আবিষ্কার যেন মহম্মদ সিরাজ। চার ওভারে আট রান দিয়ে তুলে নিলেন ৩টি উইকেট। চাহাল নিলেন দুটি উইকেট। ওয়াশিংটন সুন্দর নিলেন একটি উইকেট।
মাত্র ৮৫ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে খেলতে নেমে তেমন কোনও চাপ নেয়নি ব্যাঙ্গালোর। আগের ম্যাচে যে লকি ফার্গুসন পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন, তাঁকে নতুন বল হাতে দেননি অধিনায়ক। হয়ত সেই কারণেই প্রথম থেকেই ব্যাটিংয়ে জাঁকিয়ে বসে ব্যাঙ্গালোর। একদিকে ফিঞ্চ, অন্যদিকে দেবদত্ত পাড়িকল স্বচ্ছন্দে ব্যাট করে যান। কিন্তু ফার্গুসন আসতেই ফিঞ্চকে ফেরান। ম্যাচে না ফিরলেও লড়াই দিতে শুরু করে নাইট রাইডার্স। ষষ্ঠ ওভারেই দ্রুত দুটি উইকেট পড়ে যায়। ব্যাট করতে আসেন বিরাট কোহলি ও গুরকিরত সিং। তাঁদের আর বিশেষ বেগ পেতে হয়নি রান করতে। সহজে ১৩ ওভারে রান তুলে নেয় ব্য়াঙ্গালোর। কিন্তু এবার অনেকগুলি প্রশ্ন উঠে গেল কেকেআর-এর হারে। একেবারে এলোমেলো ব্য়াটিং অর্ডার, অধিনাকয়ত্বের গলদ, সব নিয়েই এবার প্রশ্নের মুখে পড়তে হবে কেকেআর-কে।
[ad_2]