[ad_1]
Pele (Photo Credit: Twitter)
আজ শুভ জন্মদিন,
#নয়াদিল্লি: ১৯৫৮ ফুটবল বিশ্বকাপে প্রথমবার আন্তর্জাতিক স্তরে টেলিভিশন কভারেজ হয়। সে বার বিশ্বকাপের অন্যতম প্রিয় দল ছিল ব্রাজিল। আর ব্রাজিল-ভক্তদের স্বপ্নও পূরণ হয়েছিল সে বার। কারণ সুইডেনের মাটিতে রাজকীয় ভাবে জয় সুনিশ্চিত করেছিল ব্রাজিল। আর এই বিশ্বজয়ের নায়ক ছিলেন ১৭ বছরের তরুণ পেলে। আজ জন্মদিনে ফিরে দেখা যাক সেই ম্যাচ ও পেলের অনবদ্য স্কিলকে।
এডসন অ্যারেনটেস ডু ন্যাসিমেন্টো। বিশ্বের কাছে যদিও তিনি পেলে হিসেবে পরিচিত। এই ফুটবলারের আবিষ্কর্তা ছিলেন ওয়াল্ডেমার ডে ব্রিটো। ব্রাজিলের প্রাক্তন খেলোয়াড় ওয়াল্ডেমার ডে ব্রিটোর হাত ধরেই ফুটবলে আসা পেলের। তাঁর নেতৃত্বে ফুটবলের প্রশিক্ষণ নিতে শুরু করেন পেলে। ১৬ বছর বয়সে পেলের জাতীয় দলে খেলা শুরু। আর ১৭ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক। সৌজন্যে ১৯৫৮ সালের সুইডেনে অনুষ্ঠিত ফুটবল বিশ্বকাপ।
১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপের প্রথম দু’টি ম্যাচে চোটের কারণে বাইরে ছিলেন পেলে। ব্রাজিলের হয়ে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিরুদ্ধে থার্ড গ্রুপ গেমে খেলা শুরু করেন তিনি। তবে এই ম্যাচে একটাও গোল করতে পারেননি। ওয়েলসের বিরুদ্ধে কোয়ার্টার ফাইনালে প্রথম গোল করেন পেলে। ম্যাচে এটি একমাত্র গোল ছিল। আর সেই সুবাদে ১-০ গোলে ম্যাচ জিতে যায় ব্রাজিল। কিন্তু ফ্রান্সের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে স্বমহিমায় দেখা যায় পেলেকে। ১৭ বছরের এই তরুণকে আটকাতে অসমর্থ ছিল ফ্রান্সের ফুটবলাররা। সে দিন বিশ্ব আবিষ্কার করেছিল একজন ফুটবলারকে, যিনি যে কোনও সময় ম্যাচের রং বদলে দিতে সক্ষম। সে দিন তিনটি গোল করেছিলেন পেলে।
সে বার ফুটবল বিশ্বকাপের আয়োজক দেশ ছিল সুইডেন। কিন্তু সুইডেনের মাটিতে ৫-২ গোলে জয় সুনিশ্চিত করেছিল পেলে। আর সেই সুবাদে ব্রাজিলের মুকুটে যুক্ত হয়েছিল প্রথম বিশ্বকাপের খেতাব। দল থেকে অবসর নেওয়ার পরও ব্রাজিলকে দীর্ঘ দিন নেপথ্যে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর হাত ধরে ব্রাজিল কয়েকবার বিশ্বকাপও জেতে। তবে পেলেকে ভুলতে পারেননি কেউ।
১৯৫৮ সালের ২৯ জুন সুইডেন ও ব্রাজিলের মধ্যে ফুটবল বিশ্বকাপ খেলা হয়। সে দিনের ম্যাচটি আর গোল করার মুহূর্তগুলো আজও চিরস্মরণীয় হয়ে রয়েছে। বিশেষ করে যে কোনও সেরা বিশ্বকাপের প্রসঙ্গ উঠলেই উঠে আসে পেলের সেই দুরন্ত স্কিল আর গোল করার মুহূর্তগুলি। সে দিন স্টকহোমের রাসুন্দা স্টেডিয়ামে থাকা শুধুমাত্র ৫০,০০০ দর্শকই পেলের জাদুতে মজেননি, তার সঙ্গে পেলের আরও একজন বড় ভক্তের নামও জুড়ে গেছিল। পেলের ফুটবল জাদুতে মুগ্ধ হয়ে স্ট্যান্ড থেকে নেমে এসে তাঁর সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন সুইডেনের রাজা স্বয়ং!
[ad_2]