MI vs SRH: ঋদ্ধির ব্যাটেই স্বপ্নভঙ্গ কলকাতার! প্লে অফে হায়দরাবাদ, ছিটকে গেল KKR

খেলাধুলা

[ad_1]

MI vs SRH: ঋদ্ধির ব্যাটেই স্বপ্নভঙ্গ কলকাতার! প্লে অফে হায়দরাবাদ, ছিটকে গেল KKR

ঋদ্ধি-ওয়ার্নার জুটি জয় এনে দিল হায়দরাবাদকে৷ Photo-IPL/Twitter

এই ম্যাচে জয়ের ফলে কলকাতার মতো হায়দরাবাদও ১৪ পয়েন্টে পৌঁছে গেল৷ কিন্তু রান রেট ভাল হওয়ায় প্লে অফে গেল তারা৷ ছিটকে গেল কলকাতা৷

#শারজাহ: অঙ্কটা সহজ ছিল৷ হায়দরাবাদ মুম্বইকে হারালেই বিদায় নেবে কলকাতা৷ অইন মর্গ্যানের দলের যাবতীয় আশায় জল ঢেলে সেটাই করে দেখাল ডেভিড ওয়ার্নারের দল৷ বলা ভাল বাংলার ছেলে ঋদ্ধিমানের ব্যাটেই শেষ হয়ে গেল কলকাতার আশা৷ এ দিনও ওপেন করতে নেমে ৪৫ বলে ৫৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেললেন ঋদ্ধি৷ মাত্র ৩৪ বলে অর্ধশতরান পূরণ করেন তিনি৷ অধিনায়কোচিত ইনিংস খেলেন অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নারও৷ তাঁর এবং ডেভিড ওয়ার্নারের অপরাজিত ৮৫ ইনিংসের সৌজন্যে সহজেই মুম্বইয়ের দেওয়া ১৪৯ রানের লক্ষ্য কোনও ইকেট না হারিয়েই টপকে গেল হায়দরাবাদ৷ চতুর্থ দল হিসেবে প্লে অফে জায়গা করে নিল তারা৷ তবে মুম্বইকে দেড়শোর কমে বেঁধে রেখে হায়দরাবাদের ব্যাটসম্যানদের কাজটাও সহজ করে দিয়েছিলেন তাদের বোলাররা৷

এই ম্যাচে জয়ের ফলে কলকাতার মতো হায়দরাবাদও ১৪ পয়েন্টে পৌঁছে গেল৷ কিন্তু রান রেট ভাল হওয়ায় প্লে অফে গেল তারা৷ ছিটকে গেল কলকাতা৷ হায়দরাবাদ, মুম্বই ছাড়াও প্লে অফের বাকি দুই দল দিল্লি ক্যাপিটালস এবং রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর৷

লিগ টেবলের শীর্ষে থেকে প্লে অফ নিশ্চিত করে ফেলায় এ দিন প্রত্যাশিত ভাবেই পূর্ণশক্তির দল নামায়নি মুম্বই৷ বিশ্রাম দেওয়া হয় দলের দুই প্রধান বোলার যশপ্রীত বুমরা এবং ট্রেন্ট বোল্টকে৷ পাশাপাশি হার্দিক পান্ডিয়াকেও খেলায়নি মুম্বই৷ আর সেই সুযোগটাই যেন পুরোদমে নিল ডেভিড ওয়ার্নারের দল৷ টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিল হায়দরাবাদ৷ শুরুতেই রোহিত শর্মাকে ফিরিয়ে দিয়ে মুম্বইকে ধাক্কা দেন সন্দীপ শর্মা৷ নিজের চার ওভারে মাত্র ৩৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন এই পেসার৷ রোহিত ফেরার পর মুম্বইয়ের ইনিংস গড়ার কাজ শুরু করেছিলেন সূর্যকুমার যাদব এবং কুইন্টন ডি কক৷ কিন্তু প্রথমে ডি কক এবং তার পরে সূর্যকুমার ফিরতেই যেন মুম্বইয়ের ইনিংসে ধস নামে৷ ব্যাটিংয়ের মতোই উইকেটের পিছনেও জ্বলে ওঠেন ঋদ্ধি৷ দুরন্ত স্টাম্পিংয়ে ফিরিয়ে দেন ফর্মে থাকা সূর্যকুমারকে৷ পর পর উইকেট হারানোয় থমকে যায় রান ওঠার গতি৷ আঁটোসাঁটো বোলিং করতে শুরু করেন রশিদ খান, জেসন হোল্ডার, শাহবাজ নাদিমরা৷ শেষ দিকে কায়রন পোলার্ডের ২৫ বলে ৪১ রানের সৌজন্যে তবু ১৪৯-এ পৌঁছয় রোহিত শর্মার দল৷


মুম্বই ১৪৯ তোলায় কেকেআর সমর্থকদের মনে ক্ষীণ আশা জাগলেও হায়দরাবাদ রান তাড়া করতে শুরু করার পরই তা কমতে শুরু করে৷ সৌজন্য ঋদ্ধিমান-ওয়ার্নারের ওপেনিং জুটি৷ ধারাভাষ্যকাররাও স্বীকার করে নিলেন, ঋদ্ধিমান দলে ফিরে ওপেন করতে শুরু করার পর থেকেই যেন বদলে গিয়েছে হায়দরাবাদ৷ এ দিনও রান তাড়া করতে নেমে প্রথম থেকে মুম্বই বোলিংকে আক্রমণ করেন ঋদ্ধি৷ ডেভিড ওয়ার্নারের থেকেও দ্রুত গতিতে রান তুলতে থাকেন ঋদ্ধি৷ তার উপর বুমরা- বোল্ট না থাকায় ঋদ্ধিদের কাজটাও আরও সহজ হয়ে যায়৷ ঋদ্ধি-ওয়ার্নারের ওপেনিং জুড়িই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়৷ বাংলার ঋদ্ধির ব্যাটেই কার্যত শেষ হয়ে যায় কলকাতার প্লে অফে যাওয়ার আশা৷

পর পর দুই মরশুমে নিজেদের সমর্থকদের একরাশ হতাশাই উপহার দিল কলকাতা নাইট রাইডার্স৷ সিদ্ধান্তহীনতায় ভোগা কলকাতার প্লে অফে যাওয়াটাই হয়তো অপ্রত্যাশিত ছিল৷ এ দিনের ম্যাচের পর কেন বাংলার মহম্মদ শামি, ঋদ্ধিমান সাহাদের নেওয়ার জন্য ঝাঁপায় না কলকাতার টিম ম্যানেজমেন্ট, সেই প্রশ্নও আবারও তুলতেই পারেন কেকেআর সমর্থকরা৷



Published by:
Debamoy Ghosh


First published:
November 3, 2020, 10:59 PM IST

পুরো খবর পড়ুন

[ad_2]

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না।