[ad_1]
তবে গতকালের ম্যাচে সেঞ্চুরি হাতছাড়া হয়ে যায় গেইলের। রাগে নিজের ব্যাটও ছুড়ে ফেলেন। হাজার হোক, এক রানের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়ার একটা দুঃখ তো রয়েছে!
শেখ জায়েদ স্টেডিয়ামে ১৮৫ রান করেও দল ম্যাচ হেরেছে। জোফরা আর্চারের বলে এক রানের জন্য হাতছাড়া হয়েছে ২৩তম সেঞ্চুরি। তবুও অপ্রতিরোধ্য ইউনিভার্স বস। কারণ গতকালের ম্যাচে ৯৯ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন তিনি। যার মধ্যে রয়েছে আটটি ছক্কা। আর এই সুবাদে T-20 ফরম্যাটে ১০০০টি ছয় মারার রেকর্ড গড়ে ফেললেন ক্রিস্টোফার হেনরি গেইল।
গতকালের ম্যাচে শুরুতেই ফিরে যান মনদীপ সিং। তার পর থেকে ম্যাচের হাল ধরেন ইউনিভার্স বস। প্রথমে অধিনায়ক রাহুলের সঙ্গে ১২০ রানের পার্টনারশিপ, তার পর নিকোলাস পুরনের সঙ্গে ৪১ রানের পার্টনারশিপ গড়ে তোলেন তিনি। এই সুবাদে ৬৩ বলে ৯৯ রান করেন। যার মধ্যে আটটি ছয় ও ছ’টি চার রয়েছে। এই ইনিংসের জেরেই T-20 ফরম্যাটে ক্রিকেটবিশ্বে এক নতুন রেকর্ড যুক্ত করলেন নিজের নামের সঙ্গে। গড়ে ফেললেন ১০০০টি ছয় মারার রেকর্ড।
তথ্য ও পরিসংখ্যানের নিরিখেও অন্য ব্যাটসম্যানদের থেকে অনেক এগিয়ে গেইল। বলে রাখা ভালো, তালিকায় যাঁরা রয়েছেন, তাঁদের গেইলকে ছুঁতে অনেকটা সময় লাগবে। অনেকে তো গেইলের মোট ছক্কার অর্ধেকের কাছেও পৌঁছতে পারেননি এখনও। গেইলের পর তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন আর এক ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটার কায়রন পোলার্ড। এ পর্যন্ত ৬৯০টি ছয় মেরেছেন তিনি। এর পর রয়েছেন ব্র্যান্ডন ম্যাকালাম। ৩৭০ ম্যাচে ৪৮৫টি ছয় মেরেছেন। চতুর্থ স্থানে রয়েছেন শেন ওয়াটসন। ৩৪৩ ম্যাচে ৪৬৭টি ছয় মেরেছেন তিনি। গেইলের আশেপাশে না হলেও এই তালিকায় জায়গা পেয়েছেন ভারতীয় ব্যাটসম্যান রোহিত শর্মা। এ পর্যন্ত ৩৭৬ টি ছয় মেরেছেন তিনি।
তবে গতকালের ম্যাচে সেঞ্চুরি হাতছাড়া হয়ে যায় গেইলের। রাগে নিজের ব্যাটও ছুড়ে ফেলেন। হাজার হোক, এক রানের জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়ার একটা দুঃখ তো রয়েছে! নিজের দুরন্ত ইনিংসের শেষে গেইল জানান, ১৮০ যে কোনও দলের জন্য একটি ভালো লক্ষ্যমাত্রা। তাঁর কালকের ইনিংসটিও ভালো ছিল। তবে ৯৯ রানে আউট হয়ে যাওয়া দুর্ভাগ্যজনক। তবে দলের জন্য যতটা সম্ভব চেষ্টা করেছেন। একটুর জন্য সেঞ্চুরি হাতছাড়া হয়ে যাওয়ায় ফ্যানেদের কাছে রীতিমতো ক্ষমাও চেয়েছেন ইউনিভার্স বস। শেষ ওভারে আর্চারের চতুর্থ বলটি নিয়েও অকপট ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটতারকা। জানান, জোফরা আর্চারের যে বলটিতে আউট হন, সেটি খুব ভালো বল ছিল। আর ভাগ্য সঙ্গ না দেওয়ায় আউট হয়ে যান।
বলা বাহুল্য, ৪১ বছর বয়সেও গেইল একই রকম স্বতঃস্ফূর্ত ও স্বচ্ছন্দ। আর তাই বোধহয় IPL-এর তরুণদের সামনে তাঁর বুড়ো হাড়ের ভেল্কি এখনও জারি!
[ad_2]