[ad_1]
লজ্জা ঢাকার কাপড় খুঁজে পেল না চেন্নাই। পাবেই বা কী করে, এমন চরম ব্যর্থতা ঢাকার মতো কাপড় কাউকে তো একজনকে জোগাড় করতে হবে। ব্যাটসম্যানরা এমন দায়িত্বহীন হলে, লজ্জায় তো পড়তেই হবে।
চেন্নাই সুপার কিংস: ১১৪/৯ (২০)
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স: ১১৬/০ (১২.২)
মুম্বই ইন্ডিয়ান্স জয়ী ১০ উইকেটে
তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল ধোনির চেন্নাই সুপার কিংস। শুরু থেকেই চোখে যেন বল দেখতেই পাচ্ছিলেন না চেন্নাইয়ের খেলোয়াড়রা। একদিকে বুমরা অন্যদিকে বোল্ট, আগুন ঝরানো বোলিং শুরু করেন তাঁরা। প্রথম তিন ওভারে পড়ে যায় চার উইকেট। একে একে ফিরে যান ঋতুরাজ গায়কোয়াড, অম্বতি রায়াড়ু, নারায়ন জগদীশন,ফাফ ডুপ্লেসি। তিন রানে চার উইকেট হারিয়ে চোখে সর্ষে ফুল দেখতে শুরু করে ধোনি বাহিনী। তারপর ফেরেন রবীন্দ্র জাদেজা। পঞ্চম ওভারে তাঁকে আউট করেন ক্রুণাল পান্ডিয়া। পরের ওভারে ধোনি ফেরেন ব্যক্তিগত ১৬ রানে। দীপক চাহার আউট করেন তাঁকে। ধোনিকে এই মরশুমে যতটা এলোমেলো দেখাচ্ছে, এর আগে হয়ত কখনই এতটা বিধ্বস্ত দেখায়নি তাঁকে। এক বলে ছয় মারার পর পরের বলেও ছয় মারতে গিয়ে উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে এলেন তিনি। স্বাভাবিক ভাবে উঠে দাঁড়াতে পারেনি চেন্নাই। শুধু শেষের দিকে লড়াই দিলেন স্যাম ক্যারন। ইনিংসে এই টেল এন্ডারের ব্যাট থেকেই এল সর্বোচ্চ রান। কিন্তু লজ্জা ঢাকার কাপড় খুঁজে পেল না চেন্নাই। পাবেই বা কী করে, এমন চরম ব্যর্থতা ঢাকার মতো কাপড় কাউকে তো একজনকে জোগাড় করতে হবে। ব্যাটসম্যানরা এমন দায়িত্বহীন হলে, লজ্জায় তো পড়তেই হবে। একে গোটা টুর্নামেন্টে দল ধুঁকছে, তার পরেও এমন দায়িত্বজ্ঞানহীন হলেন কী করে, সেটাই প্রশ্ন। শেষে যদি স্যাম ক্যারন না দাঁড়াতেন, তাহলে তো ১০০ রানও হত না। একা কুম্ভ রক্ষা করে লড়াকু ৫০ করে গেলেন তিনি। তাই চেন্নাইয়ের ইনিংস শেষ হল ১১৪ রানে।
এদিন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের বোলিং ছিল দেখার মতো। মুম্বইয়ের বোলিং অ্যাটাকই সম্ভবত এবারের শ্রেষ্ট বোলিং অ্যাটাক। বোল্ট, বুমরা, পান্ডিয়া, চাহার, পোলার্ড, সকলেই যেন একেবারে তৈরি হয়ে নেমেছিলেন আজ। বোল্ট নিলেন চারটি উইকেট। বুমরাহ দুটি।
ব্যাট করতে নেমে কোনও চাপই দেখতে পায়নি মুম্বই। একদিকে ঈশান কিষাণ, অন্যদিকে কুইন্টন ডি কক ব্যাট খুলে খেলতে শুরু করেন দু’জনেই। বিশেষত ঈশানের ব্যাট থেকে একের পর এক চার, ছয়ের বন্যা দেখা যায়। প্রথম ছ’ওভারে বিনা উইকেটে ৫২ রানে তুলে নেয় মুম্বই। এতটা সাদামাটা চেন্নাই সুপার কিংসকে কবে লেগেছে, সেটা বোধহয় হিসাব করেও বলা যাবে না। যেভাবে ঈশান কিষাণ ৫০ রান পূর্ণ করলেন যেভাবে, তাতে মনে হল চেন্নাই অতিসাধারণ একটি দল। ১০ ওভারে বিনা উইকেটে ৯৮ রানে পৌঁছে যায় মুম্বই। হাতে তখন অগাধ সময়, আর সামান্য কয়েকটি রান। ওপেনিং জুটি মুম্বইয়ের জয় মোটামুটি নিশ্চিত করে দেয়। ম্য়াচ জিতে নেয় ১০ উইকেটে।
[ad_2]