রাজধানীর কলাবাগানে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুল মাস্টারমাইন্ডের ‘ও’ লেভেলের ছাত্রী আনুশকাকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে করা মামলার এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ২৬শে জানুয়ারি দিন ধার্য করেছে আদালত।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত ফারদিন ইফতেখার দিহানকে আজ শুক্রবার বেলা ২টার পর আদালতে তোলা হয়। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিচ্ছে দিহান। এর আগে, পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দিহানের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে।
আনুশকার মৃত্যু অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক। শুক্রবার বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে এ তথ্য জানায় তারা। ডিএনএ পরীক্ষার পর ধর্ষণের বিষয়টি পরিস্কার হবে।
পুলিশ বলছে,উদ্দ্যেশ্যপূর্ণভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখছে তারা। এদিকে, হত্যা ও ধর্ষণ মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে একমাত্র আসামী দিহানকে।
বৃহস্পতিবার রাতেই আনুশকার বাবা মেয়ের মৃত্যুর ঘটনায় ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দিহানকে একমাত্র আসামি করে মামলা করেন । পরিবারের পক্ষ থেকে আবারো দাবি করা হয় তাকে ধর্ষণের পরই হত্যা করা হয়েছে।
তবে, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে আনুশকার মৃত্যু হলেও জোরপূর্বক ধর্ষণের শিকার হয়েছে কিনা তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পুলিশ বলছে, তার শরীরের অন্য কোথাও আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে, দুজনের মধ্যে দীর্ঘদিনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিলো।
ঢাকা মেডিক্যালে ময়নাতদন্ত শেষে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয় আনুশকার। দুপুরের দিকে কলাবাগান থানা থেকে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় দিহানকে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলত জবানবন্দি দেয় সে।
বৃহস্পতিবার গ্রুপ স্টাডির কথা বলে কলাবাগান ডলফিন গলিতে দিহানের বাসায় যায় আনুশকা। পরে, দুপুরের দিক শরীরে রক্তক্ষরণ শুরু হলে প্রথমে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় আনুশকাকে। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করলে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয় দিহান।