করোনা ভাইরাসরোধী ‘নাজাল স্প্রে’ ট্রায়ালে খুবই আশাব্যঞ্জক ফলাফল পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে, বাংলাদেশ রেফারেন্স ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল মেজারমেন্টস-বিআরআইসিএম। একবার ব্যবহারে নাক ও মুখ অন্তত তিন ঘণ্টা সুরক্ষিত থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক।
করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে যখন আলোচনা তুঙ্গে, তখন এই ভাইরাসরোধী ‘নাজাল স্প্রে’ তৈরির দাবি করলো বিআরআইসিএম। এই উদ্ভাবিত স্প্রেটির নাম দেয়া হয়েছে ‘বঙ্গসেফ ওরো-নাজাল স্প্রে’।
বুধবার সায়েন্সল্যাবে প্রতিষ্ঠানটির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিআরআইসিএম মহাপরিচালক ড. মালা খান দাবি করেন, এই স্প্রের ট্রায়ালে আশাব্যঞ্জক ফলাফল পাওয়া গেছে এবং এতে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তিনি বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত যা জানি, তা হল, এই ভাইরাসটা আক্রমণ করে মুখ, চোখ ও নাকের মাধ্যমে। সেখানে ভাইরাস কিছুকাল অবস্থান করে। আমরা যে সলিউশন তৈরি করেছি, সেটা যদি কেউ ৩-৪ ঘণ্টা পর পর স্প্রে করে, তাহলে নাক, নাসিকারন্ধ্র, মুখ গহ্বর এবং শ্বাস ও খাদ্যনালীর মিলনস্থলে (ওরোফেরিংস) অবস্থান করা করোনাভাইরাস ধ্বংস হবে।
তিনি আরও বলেন, এতে দুটো সুবিধা হবে। এক, কেউ যদি সংক্রমিত ব্যক্তির কাছাকাছি যান এবং সংক্রমণ ঘটে, তাহলে এই স্প্রে ভাইরাস ধ্বংস করবে। আক্রান্ত ব্যক্তি যদি ব্যবহার করেন, তার ভাইরাল লোড কমে যাবে।
উদ্ভাবিত নাজাল স্প্রেটি অনুমোদনের জন্য বিএমআরসি এবং ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদনের অপেক্ষায় এখন বিআরআইসিএম। ড. মালা খান বলেন,‘গত মে মাসে ঢাকা মেডিক্যালে ২০০ কভিড-১৯ রোগীর ওপর আমরা এই স্প্রের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ করেছি। সেখানে আমরা খুবই প্রমিজিং রেজাল্ট পেয়েছি। এখন আমরা বিএমআরসিতে আবেদন করব।’
বিএমআরসি এবং ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদন পেলে ১০০ টাকায় বাজারে মিলবে করোনারোধী ‘নাজাল স্প্রে’।