পৌষ সংক্রান্তিতে পুরান ঢাকাবাসী মেতেছেন উৎসবে

বাংলাদেশ

পৌষের শেষদিনে ঐতিহ্যবাহী সাকরাইন বা ঘুড়ি উৎসবে মেতে উঠেছে পুরান ঢাকাবাসী। সারাদিন ধরেই পুরান ঢাকার আকাশ আজ ছেয়েছিলো বিভিন্ন রঙ আর ধরণের ঘুড়িতে।

আকাশজুড়ে রঙ বেরঙের ঘুড়ি। নাটাই নিয়ে মেতে উঠেছেন শিশু কিশোরসহ সব বয়সি মানুষ। পৌষের শেষদিনে প্রতিবছরই এ আনন্দে মেতে ওঠেন পুরান ঢাকাবাসী। এ উৎসবের নাম তারা দিয়েছেন সাকরাইন।

বৃহস্পতিবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে ধূপখোলা মাঠে ঢাকা সাংবাদিক ফোরাম আয়োজন করে ঘুড়ি উৎসবের। এর উদ্বোধন করে সাকরাইনের মতো দেশি সংস্কৃতির চর্চা বাড়ানোর আহ্বান জানান তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘এ সমস্ত উৎসবের মধ্য দিয়ে এ করোনা মহামারির মধ্যেও আমাদেরকে উৎসাহিত করে। এ উৎসাহ-উদ্দীপনা সংকট পাড়ি দেয়ার ক্ষেত্রেও সহায়তা করে। আবহমান বাংলার সংস্কৃতিগুলোকে ধরে রাখতে হবে। আকাশ সংস্কৃতির হিংস্র থাবায় আমাদের অনেক সংস্কৃতি এখন হুমকির মুখে।’

এ  আয়োজনে ছিলেন ডিবিসি নিউজের চেয়ারম্যান ইকবাল সোবহান চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘এ ধরেন উৎসবের আয়োজন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। উৎসব মানুষকে উৎসাহিত করে। উৎসব মানুষকে আপন করে। উৎসব মানুষকে সংকট উত্তরণে সাহস যোগায়।’

বিকেলে পুরান ঢাকার পাতলা খান লেনে ঘুড়ি উৎসবের উদ্বোধন করেন দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, আকাশ আজকে রঙিন ঘুড়িতে সয়লাব হয়ে গেছে। বাংলার ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে সমৃদ্ধ করছে এই ঘুড়ি উৎসব। আমরা এর মাধ্যমে আমাদের ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করছি, ধারণ করছি ও লালন করছি।’

পরে পুরান ঢাকার বিভিন্ন স্থানে সাকরাইন উৎসবে সময় কাটান মেয়র তাপস। এদিকে, আয়োজকরা বলেন বাঙালির ঐতিহ্যবাহী উৎসবগুলো যেভাবে হারিয়ে যাচ্ছে, সেখানে সাকরাইন উৎসবে পুরান ঢাকাবাসীর এ উন্মাদনা আশা জাগায় ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে।