বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চেয়ে সরকারি প্রতিষ্ঠানের এলপিজি গ্যাসের সিলিন্ডারের দাম বেশি হতে হবে। এমন অদ্ভুত যুক্তিতে সিলিন্ডারের দাম ৯০২ টাকা করার সুপারিশ করেছে এনার্জি রেগুলারিটি কমিশন।
অথচ সরকারি এলপি গ্যাস লিমিটেড বলছে, ১২ কেজির সিলিন্ডারে ৭০০ টাকা হলেই তাদের চাহিদা মিটবে। অন্যদিকে বেসরকারি উৎপাদকরা সিলিন্ডারের দাম ১২৫৯ টাকা চান। আর চূড়ান্ত হবার আগেই বাজারে বেড়ে গেছে সিলিন্ডারের দাম।
সিলিন্ডার গ্যাসের দাম আগেই বেড়েছে। প্রতি সিলিন্ডারে কোম্পানি ভেদে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকার গ্যাস জানুয়ারিতে ৯০০ থেকে প্রায় ১০০০ টাকা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে গণশুনানিতে দাম বাড়ানোর পক্ষে সাফাই গাইলেন উৎপাদক ও বিতরণকারী প্রতিষ্ঠানগুলো। বললেন, গত ডিসেম্বরে প্রধান কাঁচামাল প্রোপেন ও বিউটেনের দাম বেড়েছে।
দাম বাড়াতে চায় সরকারি উৎপাদক সংস্থা এলপি গ্যাস লিমিটেডও। তাদের দাবি ১৬ শতাংশ বাড়ালেই রাজস্ব চাহিদা পূরণ হবে কোম্পানিটির। বিইআরসির কারিগরি মূল্যায়ন কমিটির পর্যালোচনা অনুযায়ি, সরকারি গ্যাসের দাম হওয়া উচিত ৯০২ টাকা আর বেসরকারি ৮৬৬ টাকা।
কারিগরি মূল্যায়ন কমিটির সদস্য সচিব কামুরুজ্জামান বলেন, বাজারে বিভিন্ন সাইজের সিলিন্ডার প্রচলিত আছে। কমিশন কর্তৃক মূল্য নির্ধারণের ক্ষেত্রে কেজি অনুযায়ী পরবর্তী যে সিলিন্ডারের সাইজগুলো আছে সেগুলো সবগুলোরই মূল্য নির্ধারণ করার প্রয়োজন হবে।
জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা ড. শামসুল আলম বলেন, এলপিজি আনতে অনেক খরচ হয়, জাহাজ ভাড়া দিতে হয়। এটা আনতে ব্যয় কিভাবে কমবে তারা কিন্তু সেকথা বলেনি। তারা যে যেভাবে ব্যবসা করছে কত খরচ হয় সেই কথা বলছে। কিন্তু বিকল্প আরো অনেক উপায় আছে। যে কৌশলগুলো অবলম্বন করলে এর ব্যয় কমিয়ে আনা সম্ভব।
তিনি বলেন, উৎপাদন খরচ কমানোর চেষ্টা না করে, দাম বাড়ানোর সহজ কৌশল নিচ্ছে কোম্পানিগুলো। যাতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ভোক্তাস্বার্থ।
আগামী ২৪ তারিখের পর, এলপি গ্যাসের দাম নিয়ে নিজেদের লিখিত মতামত দেবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন।