‘চলচ্চিত্র শিল্পকে টিকিয়ে রাখার জন্য সব উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার’

সংস্কৃতি ও বিনোদন

চলচ্চিত্র শিল্পকে টিকিয়ে রাখার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রবিবার, বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার- ২০১৯ প্রদান অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে একথা বলেন তিনি। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, চলচ্চিত্র বাংলাদেশে বিনোদনের অন্যতম মাধ্যম। সবার যেন কল্যান হয় সেই লক্ষ নিয়েই চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যান ট্রাস্ট নীতিমালা করা হয়েছে। বাংলাদেশের চলচ্চিত্র যেন দেশের বাইরেও যেতে পারে সেজন্য সংশ্লিষ্টদের মান রক্ষা করে কাজ করার পরামর্শ দেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, এক হাজার কোটি টাকার ফান্ড তৈরি করা হয়েছে যার মাধ্যমে বন্ধ সিনেমাহলগুলো চালু ও আধুনিকায়ন করা হবে। বাংলাদেশটাকে সমৃদ্ধ করার জন্য জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পরপরই বিভিন্ন পদক্ষেপ নেন। বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছিলেন, কিন্তু সম্পন্ন করে যেতে পারেননি। ১৫ আগস্ট আমাদের জীবনটাকেই পালটে দিয়েছে। এরপর বাঙালির সংস্কৃতিটাই নষ্ট হতে বসেছিল। জাতীর পিতার অধরা কাজগুলো সম্পন্ন করাই আমাদের দায়িত্ব। এসময় এফডিসিকে আরও সুন্দর ও আধূনিক করে গড়ে তোলার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের এই শিল্প নষ্ট হয়ে যাক তা আমরা চাই না। সিনেমাগুলো সেভাবেই তৈরি করতে হবে যেন পরিবার নিয়ে দেখা যায়। শিশুদের জন্যও সিনেমা তৈরি করতে হবে যেন তারা সিনেমা দেখে শিক্ষা নিয়ে জীবনকে প্রস্তুত করতে পারে।’

এর আগে ৩৩ জন শিল্পী ও কলাকুশলীর হাতে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার- ২০১৯ এর পদক, সনদ এবং রেপ্লিকা তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। চলচ্চিত্রে বিশেষ অবদানের জন্য মাসুদ পারভেজ (সোহেল রানা) ও কোহিনুর আক্তার সুচন্দা এ বছর আজীবন সম্মাননায় অভিষিক্ত করা হয়েছে।