চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন সহিংসতায় অবৈধ নাকি-বৈধ অস্ত্র অবৈধভাবে ব্যবহার হচ্ছে তা নিয়ে অনেকটা অন্ধকারে পুলিশ।
সম্প্রতি ভোটের মাঠে অস্ত্র ব্যবহারের পর তা নিয়ে তৎপর হয়েছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। এ নিয়ে আতঙ্কিত নগরবাসীও। পুলিশ বলছে, বৈধ কোন অস্ত্র যেন সহিংসতায় ব্যবহার না হয় সেজন্য সজাগ রয়েছেন তারা।
সিএমপি’র ১৬ থানায় বৈধ অস্ত্রধারীর সংখ্যা ২ হাজার ৪৭৭ জন। নগরী ও জেলাতে বৈধ অস্ত্রের সংখ্যা ৪ হাজার ২৭৫টি। তবে অবৈধ অস্ত্রের সংখ্যা কত তার কোনো পরিসংখ্যান নেই।

এসব বৈধ অস্ত্রধারীর উপর নজরদারি না থাকায় গোপনে বা প্রকাশ্যে বেড়েছে বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার।
৭১ সালের পর অস্ত্রের লাইসেন্স ইস্যু ১৮,২১৮টি। বর্তমানে মোট বৈধ অস্ত্রের লাইসেন্সের সংখ্যা ৪২৭৫। জেলায় ১,৭৯৮/নগরীতে ২,৪৭৭টি।
২০১৮ সাল পর্যন্ত গত ৫ বছরে অস্ত্রের লাইসেন্স দেয়া হয়েছে ৫৩৮টি। গত ৫ বছরে অস্ত্রের লাইসেন্স বাতিল হয়েছে ১৮৮।
নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর (অব.) এমদাদুল ইসলাম বলেন, যুবলীগের যে এক নেত্রী তার কাছেও দেখা যাচ্ছে অস্ত্র আসছে,তো সেগুলোকে নিবারন করতে হবে এটা দেশ এবং জাতি এবং সরকারের ভাবমূর্তি জন্য এ সমস্ত জিনিসগুলো এখনই এগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
তফসিল ঘোষণার পর নির্বাচনি সহিংসতায় পাহাড়তলীতে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী ইসমাইলের অনুসারীদের হামলায় নিহত হন বিদ্রোহী প্রার্থীর অনুসারী তানভীর। সম্প্রতি পাঠানটুলিতে বিদ্রোহী প্রার্থী কাদেরের অনুসারীদের গুলিতে নিহত হন আওয়ামী লীগ কর্মী বাবুল।

এসব ঘটনায় ব্যবহৃত অস্ত্র বৈধ না অবৈধ তা তদন্তে মাঠে নেমেছে পুলিশ। তবে সিএমপি কমিশনারের কড়া হুশিয়ারি বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার করতে দেয়া হবে না।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর বলেন, আমরা কাউকেই নির্বাচনী সহিংসতা বা আইন শৃংখলা পরিস্থিতি অবনতি করতে দেব না। অস্ত্রের এ লাইসেন্সটাকে আমরা বলে থাকি যে এটি একটি প্রিভিলেজ সরকার দিয়ে থাকে। যদি কখনো প্রমানিত হয় বৈধ অস্ত্রকে অবৈধ কাজে ব্যবহার করেছে তখন তিনি আইনি ভাবে যেটা সাজা হওয়ার কথা যে প্রক্রিয়ার মোকাবেলা করার কথা সেটা তিনি করবেন।
২০১৪ সালে বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার ঠেকাতে অভিযান শুরুর পর প্রায় আড়াইশ’ বৈধ অস্ত্রধারীর কোন হদিস পায়নি পুলিশ।