পৌরসভায় মেয়র পদে বিদ্রোহী প্রার্থী-যাদের বহিস্কার করা হয়েছে তাদের আর দলে ফেরাতে আর চায়না আওয়ামী লীগ। যারা বিদ্রোহীদের মদদ দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।
প্রথম ধাপের তুলনায় দ্বিতীয় ধাপের পৌরসভা নির্বাচনের সংঘর্ষ হয় বেশী। এসব সংঘর্ষের বেশকটির কারণ দল মনোনীত প্রার্থী ও বিদ্রোহীদের মধ্যে বিরোধ।
প্রথম ধাপের ২৫টির মধ্যে ৮টি পৌরসভায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ছিলেন ১০ জন। যাদের মধ্যে ৩ জন জয় পান। আর দ্বিতীয় ধাপের বিদ্রোহীরা জয় পান ছয়টি পৌরসভায়।
দ্বিতীয় ধাপের ৬০টি পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী ছিল অর্ধ-শতাধিক। দিনাজপুরে তিনটি পৌরসভাতেই মেয়র পদে বিদ্রোহী ছিলেন ১৫ জন। তাদের মধ্যে একজন জয় পান।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাসিম বলেন,’নৌকার পরাজয়ের জন্য যারা জড়িত তাদেরকে কিন্তু আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেয়া হয়নি। দলের ঐক্য সংহতির বিপক্ষে যারা দাঁড়াবে, তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক জানান,’কোন বিদ্রোহী আর কোনদিন নৌকায় চড়তে পারবে না। যে এমপি নৌকার বিরুদ্ধে বিরোধীতা করা শেখালো, সেই এমপির আর নৌকা নিয়ে নির্বাচন করার বা মনোনয়ন পাবার অধিকার হারিয়ে ফেলেছেন।’
দলটির কেন্দ্রীয় নেতারা মনে করেন, বিদ্রোহীদের প্রশ্রয় দিলে এর প্রভাব পড়বে জাতীয় নির্বাচনেও। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন বলেন,’পার্টির ডিসিপ্লিন ফিরে না আসলে, একবার নৌকার বিরুদ্ধে ইলেকশন করে, নৌকার বিরুদ্ধে ভোট দেয়ার অভ্যাস হয়ে গেলে জাতীয় নির্বাচনেও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।’
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক জানান,’যারা দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নেবে, যারা বিভিন্ন অপকর্মে জড়িত হবে, সে যত বড় নেতাই হোন না কেন? যত শক্তিশালী নেতাই হোন না কেন, তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
ইতিমধ্যে, বিভিন্ন জেলায় বিদ্রোহীদের বহিষ্কারসহ নানান ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।