পৌরসভা নির্বাচনেও সংহত নয় দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপির ঐক্য। দলের সিদ্ধান্তকে অমান্য করে প্রার্থী হচ্ছেন অনেকে। এরকম অন্তত দশ বিদ্রোহী প্রার্থীকে দল থেকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।
আরও কয়েকজন রয়েছেন বহিষ্কারের তালিকায়। যদিও এই বহিষ্কারাদেশ খুব বেশি দিন স্থায়ী হবে না বলে মনে করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল।
প্রথম ধাপের নির্বাচনে মোটে দুটি পৌরসভায় জয় পেয়েছে বিএনপি। দ্বিতীয় ধাপে ধানের শীষের জয় চারটিতে। এছাড়া বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে জয় ছিনিয়ে এনেছেন দুজন।
প্রথম দুই দফায় ভরাডুবি হলেও সামনের নির্বাচনগুলোতেও একক প্রার্থী নিশ্চিত করা বেশ কঠিন হয়ে পড়েছে। বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা বিএনপির নেতারা বলছেন, মনোনয়নে যোগ্যদের মূল্যায়ন করা হয়নি।
কলারোয়া পৌরসভার বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী আক্তারুল ইসলাম জানান,’ধানের শীষ আমার হক ছিলো, আমার পাওনা ছিলো। যখন এটা থেকে আমাকে বঞ্চিত করা হয়েছে, এ কারণ জনগণের দাবির মুখে আমি বিদ্রোহী প্রার্থী হতে বাধ্য হয়েছি।’
রহনপুর পৌরসভা বিএনপির বিদ্রোহী প্রার্থী ডা. মোহাম্মদ মফিজ উদ্দিন বলেন,’অপ্রত্যাশিতভাবে কেন্দ্রীয় নেতারা জনবিচ্ছিন্ন বর্তমান মেয়র তারেক আহম্মেদকে মনোনয়ন দিয়েছে। নেতা-কর্মীদের চাপে, তাদের আগ্রহে আমাকে আজকে এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে হয়েছে।’
অবশ্য ধানের শীষ প্রতীক পাওয়া প্রার্থীদের দাবি, দলের ঐক্য নষ্ট করতে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত বিদ্রোহীরা। গাবতলী পৌরসভার বিএনপি মনোনিত প্রার্থী সাইফুল ইসলাম বলেন,’বিএনপিকে ভাঙ্গার জন্য এই সরকার বিভিন্নভাবে পায়তাড়া করছে। যারা স্বতন্ত্রপ্রার্থী হয়েছে, এটা সরকারী দলের একটা নীলনকশা, এরা সরকারি দলের লোক। এদেরকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে, বিএনপি’র ওই আসনটি ছিনিয়ে নেয়া যায় কিনা, তারপর বলবে তাদের মাঝে গ্রুুপিং আছে।’
কেন্দ্রীয় এই যুগ্ম মহাসচিবের মতে, চৌদ্দ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকার পরও ধানের শীষে নির্বাচন করার আগ্রহ কমেনি মানুষের। একারণেই কোথাও কোথাও বিদ্রোহী প্রার্থী হচ্ছেন কেউ কেউ।
বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন,’নিজেদের মাঝে প্রতিযোগীতা আমাদের দলের বিকাশমান ধারার একটা নমুনা।’
তৃতীয় ধাপে আগামী ত্রিশে জানুয়ারি ভোট হবে ৬৪ পৌরসভায়।