নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ছাড়া যারা অন্য কোন প্রার্থীকে ভোট দেবে তাদের কাউকেই যেতে দেয়া হবে না ভোট কেন্দ্রে। প্রতিটি ইউনিটের নেতাকর্মীদের ভোট কেন্দ্রে অবস্থান নিয়ে যে কোন মূল্যে ধানের শীষের সমর্থক বা ভোটারদের প্রতিহত করতে হবে।
আগামী ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় ধাপের পৌরসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে বগুড়ার গাবতলী পৌরসভার কর্মী সমাবেশে নেতাকর্মীদের এমন নির্দেশনা দেন জেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি সাজেদুল ইসলাম শাহীন। সে বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার পর সমালোচনার ঝড় উঠেছে দেশজুড়ে।
গত শনিবার (১৬ জানুয়ারি) সন্ধ্যায়, বগুড়ার গাবতলী পৌরসভার দাড়াইল বাজারে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর নির্বাচনি প্রচার কাজের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ২ মিনিট ১৪ সেকেন্ডের এই বক্তব্য দেন সাজেদুর রহমান শাহীন। বক্তব্যের এক পর্যায়ে তিনি বলেন, ‘এখন মার খাওয়ার সময় নয়, মার দেয়ার সময়। যারাই ধানের শীষের কথা বলবে তাদের ওপরেই গজব হবে।’

নেতাকর্মীদের এমন দিক নির্দেশনা দিতে গিয়ে শাহীন বিগত দিনের উপজেলা পরিষদের উদাহরণ দেন। এসময় তিনি বলেন, যেমন করে আমরা উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচন করেছি সেই ভূমিকা নিয়েই পৌরসভার নির্বাচন করতে হবে।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি মোবাইল ফোনে জানান, গাবতলীর রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নেতাকর্মীদের উজ্জীবিত করতে এসব কথা বলেছেন তিনি।

এ পৌরসভায় আসন্ন নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী সাইফুল ইসলাম এ বিষয়ে গতকাল রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তিনি জানান, শাহীনের এমন বক্তব্য ছড়িয়ে পড়লে বিএনপির নেতাকর্মী, সমর্থক এবং সাধারণ ভোটারদের মনে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। তবে, সব ধরনের বাধা প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।
গাবতলী উপজেলা নির্বাহী এবং নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা রওণক জাহান জানান, প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে অভিযোগের সত্যতা। নির্বাচনি বিধিমালা অনুযায়ী নেয়া হচ্ছে ব্যবস্থা।

এদিকে, আওয়ামী লীগের প্রার্থী মমিনুল হক শিলুর দাবি, তার নির্বাচনি সভায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শাহীনের আসার কথা জানা নেই তার। আর, জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা জানান, এমন বক্তব্যের দায় নেবেনা দল। নিরপেক্ষ নির্বাচন হচ্ছে দাবি তাদের।
আগামী ৩০ জানুয়ারি তৃতীয় দফা পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, বিএনপির দুই বিদ্রোহী প্রার্থীসহ ৫ জন প্রার্থি মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।