পরশুরামে আবারও প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়া জয় পাচ্ছে আ.লীগ প্রার্থীরা

বাংলাদেশ

ফেনীর পরশুরাম পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র-কাউন্সিলর-সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর সব পদেই আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী। তাই কোন নির্বাচন ছাড়াই সবাই নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।

সবশেষ ২০১৫ সালেও ঘটেছিল একই ঘটনা ঘটেছিল ফেনীর পরশুরাম পৌরসভা নির্বাচনে। আওয়ামী লীগের দাবি, বিএনপির মেয়রপ্রার্থী ঋণখেলাপী হওয়ায় লজ্জায় নির্বাচন করছেন না। আর বিএনপি বলছে, নানা হুমকির কারণে নির্বাচন থেকে সরে যেতে বাধ্য হয়েছেন।

১৭ই জানুয়ারি চতুর্থ ধাপের পৌরসভা নির্বাচনের মনোনয়নপত্র জমা দেয়ার শেষ দিনে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। এসময় নির্বাচন বয়কটের ঘোষণা দেন তারা।

আর কোনো প্রার্থী না থাকায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত দুইবারের মেয়র নিজাম উদ্দিন চৌধুরী সাজেল এবারও নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায়। এছাড়া পৌরসভার সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডগুলোতেও আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী। 

স্থানীয় বিএনপি নেতাদের দাবি, যারা প্রার্থী হতে চেয়েছিল তাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে।

ফেনী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলাল উদ্দিন আলাল বলেন, পরশুরামে এমন এক সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা হয়েছে যে আমাদের কেউ প্রার্থী হলেই তার বাড়িতে হামলা করা হবে। আমাদের মেয়র নমিনেশন দেয়া হয়েছে, কিন্তু নমিনেশন পেপার নিয়ে আমাদেরকে রিটার্নিং কর্মকর্তার অফিসে যেতে দেয়া হয় নাই।

আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী নিজাম উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী সাজেল বলেন, বিএনপির প্রার্থী ঋণখেলাপি, লজ্জা পাবেন বলে মনোনায়নপত্র জমা দেননি তিনি। বিএনপি যাকে মনোনয়ন দিয়েছে সে পাঁচ-ছয়টা ব্যাংকের ঋণখেলাপি। তার নামে ঋণখেলাপির দুইটা মামলাও আছে।

নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, বিএনপি নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোনো সদুত্তর পায়নি তারা। বিএনপি জেলা সভাপতিকে ফোন করে বলেছি যে, আপনারা কেউ মনোনয়ন পত্র জমা দিতে চাইলে আমার অফিসে অথবা পরশুরামে জমা দিতে পারবেন। আমরা এ ব্যাপারে তাদের কোন সদুত্তর পাইনি।

২০১৫ সালের নির্বাচনেও পৌরসভাটিতে আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্যকোন দলের প্রার্থী ছিল না।