কী থাকছে বাইডেনের অভিষেক ভাষণে?

আন্তর্জাতিক

গৃহযুদ্ধের সময় প্রেসিডেন্ট থাকা আব্রাহাম লিঙ্কনের পর নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অভিষেক ভাষণকে মার্কিন ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।

আগামী ৪ বছর মার্কিন রাজনীতি, অর্থনীতি এবং কূটনীতি কেমন হতে যাচ্ছে তার ধারণা পাওয়া যাবে বাইডেনের অভিষেক ভাষণে। যেকারণে মার্কিনিরা ছাড়াও পুরো বিশ্ব অপেক্ষা করছে বাইডেনের ভাষণের জন্য।

শৈশবে তোতলামির কারণে ঠাট্টা আর অপমানের শিকার হওয়া জো বাইডেন প্রেসিডেন্ট হিসেবে আজ যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভাষণটি রাখবেন। 

মার্কিন প্রেসিডেন্টদের অভিষেক ভাষণ নিয়ে আগ্রহ থাকে পুরো বিশ্বের। পরবর্তী ৪ বছরের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতি, অর্থনীতি এবং কূটনীতি কেমন হতে যাচ্ছে তার ধারণা পাওয়া যায় অভিষেক ভাষণে। একারণে বাইডেনের ভাষণে কি থাকবে তা নিয়ে চলছে জল্পনা-কল্পনা। 

সিএনএন জানিয়েছে, এখনও চলছে অভিষেক ভাষণ লেখার কাজ। বাইডেন নিজেই পুরো প্রক্রিয়াটি তদারকি করলেও ভাষণ লেখার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বিনয় রেডিকে। এ কাজে তাকে সহায়তা করছেন বাইডেনের দীর্ঘদিনের উপদেষ্টা মাইক ডোনিলন। এছাড়া তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী টোনি ব্লিঙ্কেন এবং চিফ অফ স্টাফ রন ক্লেইনও সহায়তা করছেন।

ভাষণটি যেকোন মুহূর্তে পরিবর্তনের সুযোগ রাখা হচ্ছে। তবে বাইডেনের ঘনিষ্ঠ কয়েকজন জানিয়েছেন, নির্বাচনে জয় ঘোষণার পর ৭ই নভেম্বর বাইডেন যে ভাষণ দিয়েছিলেন তার আদলেই হবে অভিষেক ভাষণ।

বাইডেনের সাবেক সহযোগীরা মনে করছেন অভিষেক ভাষণে সকল সংকট কাটিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার আহবান জানাবেন বাইডেন। একারণে ভাষণে হয়ত বিদায়ি ট্রাম্পের কোন উল্লেখ থাকবে না। এছাড়া বিভক্ত হয়ে পড়া জাতিকে আবারও ঐক্যবদ্ধ করার ডাক দেবেন নতুন প্রেসিডেন্ট।