ছাত্রলীগ নেতাকে ঘুষ না দেয়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধার নাতি কারাগারে

বাংলাদেশ

দেনমোহরের মামলা টাকা দিয়ে সমঝোতা করা হয়-কিন্তু মধ্যস্থতাকারীর দাবি অনুযায়ী ৬০ হাজার টাকা না দেয়ায় এখন জেল খাটতে হচ্ছে রাজশাহীর পুঠিয়ার রাসেল নামে এক যুবককে। 

অভিযোগ উঠেছে, রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব খান ও পুঠিয়া থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম ছিলেন এর মধ্যস্থতায়। তাদের একজনের দায়ের করা মামলায় রাসেল এখন জেলে। পরিবার বলছে ঘুষ না দেয়ায় প্রতিহিংসার শিকার তারা।

৭১ এ রাজাকার বাহিনীর আতঙ্ক পুঠিয়ার শহীদ  মুক্তিযোদ্ধার করম আলী। তার স্ত্রীর কান্না  প্রিয় নাতি রাসেলের জন্য। শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা করম আলীর স্ত্রী আম্বিয়া বেওয়া বলেন,’তালাক দিয়েছে, টাকা পয়সা ষোল আনা দিতে পারেনি। ৬০ হাজার টাকা বাকি আছে। ওই টাকার জন্য হাবিব আর জাহাঙ্গীর ষড়যন্ত্র করছে।’

রাসেলের পরিবার বলছে, স্ত্রীকে তালাকের  দেনমোহরের মামলায় পড়েন রাসেল। পরে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি হাবিব ও পুঠিয়া উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর মামলাটির সমঝোতার দায়িত্ব নেন।

দাবি টাকা না দেয়ায় রাসেলকে ডেকে নিয়ে হত্যা ও চুরি চেষ্টার অভিযোগ এনে থানায় মামলা করা হয়। রাসেলের মা সানোয়ারা বেগম চানু বলেন,’৬০ হাজার টাকা দিতে পারিনি এ জন্য হাবিবকে তাদের বাসায় ডেকে নিয়ে গেছে। মারধর করে পুলিশে দিয়েছে।’

রাসেলের চাচা মোহাম্মদ সেলিম বলেন,’ছোট বেলা থেকে তাকে মুনষ করছি। সে কোন ঝামেলা-ফ্যাসাদে কখনই জায়না। সে খামার নিয়ে, নিজের কাজ নিয়ে থাকে।’

তবে  অভিযোগ অস্বীকার করেন ছাত্রলীগ নেতা হাবিবের দাবি, তাকে হত্যা করতে ১৩ জানুয়ারি গভীর রাতে তার ঘরে অবস্থান নিয়েছিলো রাসেল। রাজশাহী জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবিব খান বলেন,’সে হয়তো আমাকে খুন করতে গেছিলো। চুরি করতে গেলে তো মোবাই ফোন বা যা কিছু ঘরে আছে নিয়ে চলে যেত। সে কাকে বিয়ে করছে সে বিষয়ে কিছু জানি না। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা।’

পুঠিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন,’ওর সঙ্গে আমার সম্পর্ক এক বছরের মতো। সে ওখানে কেন গেছে? কি করতে গেছে জানা নেই।’

পুলিশ বলছে, বিষয়টি তদন্ত চলছে। তাই এ নিয়ে কথা বলতে নারাজ পুলিশ। রাজশাহী পুঠিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল ইসলাম জানান,’এটা তদন্তাধীন বিষয় এটা নিয়ে কোন কথা বলবো না। আমরা বিষয়টি দেখছি। ‘