পরবর্তী পৌরসভা নির্বাচনে নৌকার বিপক্ষে যে কোন পর্যায়ের নেতা এবং জনপ্রতিনিধিরা জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
বুধবার সকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে একথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিদ্রোহী ও তাঁদের মদদদাতাদেরও কোনো প্রকার ছাড় দেয়া হবে না। দলের যে কোনো পর্যায়ের নেতা এবং জনপ্রতিনিধিরা জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। আগামী ৩০ জানুয়ারি সকাল ১১টায় গণভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে পঞ্চম ধাপের পৌরসভা নির্বাচনের মনোনয়ন বোর্ডের সভা অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, করোনাকালে অসহায় মানুষের সুরক্ষা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় প্রধানমন্ত্রীর মানবিক নেতৃত্বে যে উদ্যোগ চালানো হয়েছিল তা বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত হয়েছে। অথচ বিএনপি বরাবরের মতো মিথ্যা বলছে, সরকার নাকি করোনা মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়েছে। বিএনপি নেতারা বলেছিল লাখ লাখ মানুষ না খেয়ে, বিনা চিকিৎসায় রাস্তায় মরে পড়ে থাকবে। শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্ব এবং আল্লাহর রহমতে এখনো তা হয়নি বলেই বিএনপি নেতাদের আক্ষেপ। এজন্য তারা মনযন্ত্রণায় ভুগছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি করোনা টিকা নিয়ে আগাম অপপ্রচার শুরু করছে। দেশ ও মানুষের কল্যাণে যে কোনো কাজকে প্রশ্নবিদ্ধ করাই তাদের রাজনীতি। সরকার ও দেশের সফলতা এবং অর্জন বিএনপির গায়ে জ্বালা ধরায়। সরকার ও আওয়ামী লীগ কর্মীরা যখন মানুষের কল্যাণে দিনরাত সেবা দিয়েছে, তখন বিএনপি উটপাখির মতো বালুতে মাথা লুকিয়ে রেখেছিল। আর এখন নির্লজ্জভাবে বলছে সরকার ব্যর্থ।