ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ৯০ ভরি ওজনের দু’টি স্বর্ণের বার ছিনিয়ে নেয়ার ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের জন্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে অধিদপ্তর।
ডিবি পুলিশ পরিচয়ে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ৯০ ভরি স্বর্ণ লুটের অভিযোগ উঠে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক এস এম সাকিব হাসানের বিরুদ্ধে। পরে, রাজধানীর কোতোয়ালি থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় সাকিবসহ পাঁচজনকে।
এ বিষয়ে এখনো বিস্তারিত জানায়নি পুলিশ। তবে, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বলছে, সাকিবকে সাময়িক বরখাস্তসহ তদন্তের জন্য মন্ত্রনালয়ে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক ফজলুর রহমান বলেন, একজন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তার দায়িত্ব হচ্ছে মাদক অপরাধ দমন এবং এসব অপরাধ উদঘাটন করা। কারো সম্পদ ছিনিয়ে নেয়া নয়। যেহেতু সে প্রথম শ্রেণির একজন কর্মকর্তা তার সেহেতু তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার মন্ত্রণালয়ের। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।
এ ঘটনায় গাড়ীচালক ইব্রাহিম স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। মামলার অপর দুই আসামি এমদাদুল ও আলমগীরকে বুধবার দুই দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী হেমায়েত উদ্দিন খান হিরন বলেন, তারা সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে মানুষকে জিম্মি করে স্বররণ নিয়েছে। মামলাটির তদন্ত শেষে এ ঘটনার সত্যতা মিলেছে। গ্রেপ্তারকৃতরাও আজকে বিজ্ঞ আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।
এ ঘটনায় এসএম সাকিব, সিপাহী আমিনুল এবং তাদের সহযোগী হারুনও তিন দিনের রিমান্ডে রয়েছে।