কথা, সুর ও সঙ্গীতায়োজনের দিকে ঝুঁকছেন নারী শিল্পীরা

সংস্কৃতি ও বিনোদন

শুধু সংগীতশিল্পী হিসেবে নয় গীতিকার, সুরকার এমনকি সংগীত পরিচালক হিসেবেও কাজ করছেন এই প্রজন্মের নারী সংগীত শিল্পীরা। স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশের সংগীত অঙ্গনের প্রচলিত ধারা ভেঙে বাঁক বদল ঘটছে নারী শিল্পীদের কর্মপরিধির।

বাংলাদেশের সংগীতভুবনে বেশিরভাগ নারী শিল্পীই সফল হয়েছেন অনন্য গায়কী প্রতিভার কারণে। তবে এই প্রজন্মের নারী শিল্পীদের অনেকেই ঝুঁকছেন গান লেখা ও সুরসৃষ্টির দিকে।

সংগীতশিল্পী সভ্যতা জানান, ‘আমি যেভাবে পৃথিবীটা দেখি আমার ভাই সেভাবে দেখেনা। আমরা দু’জন একই বাসায় বড় হচ্ছি, একই কালচারে বড় হচ্ছি। কিন্তু দু’জনের পৃথিবী দেখা আলাদা। কারণ আমাকে বলা হচ্ছে যে, সন্ধ্যার আগে বাসায় ফিরতে হবে। ভিড়ের মধ্যে গেলে কনউ দুইটা উঁচু করে রাখতে হবে।’

নারীদের লেখা গান আর সুর যেন ধর্ষণ ও নারী নির্যাতন বিরুদ্ধে প্রতিবাদের ভাষা।

সংগীত শিল্পী রেসি বলেন, ‘কয়েক বছর বছর ধরে দেশে যে পরিমাণ ধর্ষন, নারী ও শিশু নির্যাতনের বিষয়টা আসছে। গান হিসেবে না শুধু, এটা প্রতিবাদের ভাষা হিসেবে মানুষের মুখে মুখে থাকুক।’

কারও গানে আবার মহান মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতনের শিকার বীরাঙ্গনা ও যুদ্ধশিশুদের জীবনের গল্প।

বাংলাদেশের প্রথম নারী গিটারিষ্ট মিন্নি বলেন, ‘একাত্তরের যুদ্ধের সময় যে মা কষ্ট করে সন্তান পেটে ধারণ করেছে তাদেরকে ভালোবাসি ও সম্মান করি।

নারীকে পণ্য ভাবার সামাজিক প্রবণতার বিরুদ্ধে গান লিখছেন তারা। গাইছেন সাম্যের গান।

সংগীতশিল্পী নিশাত আনজুম বলেন, ‘মেয়েদের সবকিছু খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখা হয়। একটা মেয়ে দেখতে কেমন, তার গায়ের রঙ কেমন, মেয়ে বেশ লম্বা বা মেযে বেশ খাটো, গায়ের রঙ বেশি কালো বা বেশ ফর্সা। এগুলো নিয়ে খুব হার্টব্রেকিং জাজমেন্টের মধ্য দিয়ে যেতে হয়।’

সব মিলিয়ে লিরিক ও সুর নির্মাণে নারীদের এগিয়ে আসার এই প্রবণতা বাংলা গানকে আরো সমৃদ্ধ করবে বলেই ভাবছেন সংগীতপ্রেমীরা।