কীর্তিমান সুরকার আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের দ্বিতীয় প্রয়াণ দিবস

সংস্কৃতি ও বিনোদন

দুই বছর আগে আজকের এই দিনে প্রিয় জন্মভূমি ও গানের ভুবন ছেড়ে পরপারে পাড়ি জমান বহু কালজয়ী গানের স্রষ্টা ও রণাঙ্গনের বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল।

সব কটা জানালা খুলে দাও না, আমার বাবার মুখে প্রথম যেদিন, পড়ে না চোখের পলক, আমার গরুর গাড়িতে বৌ সাজিয়ে, ঘুমিয়ে থাকো গো সজনী, এরকম অসংখ্য জনপ্রিয় বাংলা গানের সুরকার আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। শুধু সুরকারই নন ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে রণাঙ্গনের সশন্ত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা বুলবুল ছিলেন সংগীত পরিচালক, গীতিকারও। ২০১৯ সালের আজকের দিনে মাত্র ৬৩ বছর বয়সে পাড়ি জমান না ফেরার দেশে।আজ এই কীর্তিমানের ২য় প্রয়াণ দিবস।

ঢাকায় জন্ম আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল স্কুলে পড়ার সময় দেশমাতৃকার টানে হাতে তুলে নেন অস্ত্র। বেশ কয়েকবার গ্রেপ্তার হয়ে নির্যাতিত হয়ে বিজয়ের দিনে মুক্তিপান রমনা থানা থেকে।

গায়ক হবার ইচ্ছে ছিল না কখনো, স্বপ্ন ছিলো গীতিকার হওয়া। ১৯৭৬ সালের পেশাদার হয়ে উঠেন গানের ভুবনে। মেঘ বিজলী বাদল সিনেমা দিয়ে সঙ্গীত পরিচালনায় যুক্ত হন। তবে, তাঁর সঙ্গীত পরিচালনায় নয়নের আলো সিনেমার গানগুলো গায় আকাশ ছোঁয়া জনপ্রিয়তা। আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে।

সিনেমার পাশাপাশি অডিও অ্যালবামে সক্রিয় ছিলেন তিনি। তাঁর লেখা ও সুরে গান গেয়েছেন রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমিন, এন্ড্রু কিশোর, জেমসসহ দেশ সেরা সব গায়েনরা। বেসরকারি একটি টেলিভিশনের উদ্যোগে শিল্পী বাছাই অনুষ্ঠান জনপ্রিয় শো- ক্লোজ আপ ওয়ানের তিন মৌসুমে বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় গোলাম আযমের নির্যাতন-নিপীড়নের সাক্ষ্য দেন তিনি। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, একুশে পদকসহ নানা পুরস্কারে সম্মানিত হয়েছিন বাংলা গানের ভুবনের বুলবুল।