ঝুঁকিপূর্ণ পুরনো ভবনেই চলছে আদালতের কার্যক্রম

আইন ও কানুন

উদ্বোধনের চার বছর পেরোলেও এখনো হস্তান্তর হয়নি লক্ষ্মীপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নতুন ভবন। বাধ্য হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পুরনো ভবনেই চলছে বিচারকাজ।

২০১০ সালে লক্ষ্মীপুর চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনে ফাটল দেখা দেয়। এরপরই ২০১২ সালে প্রায় ৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ১০ তলা বিশিষ্ট নতুন ভবন নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয় গণপূর্ত বিভাগ। এর নির্মাণ কাজ পায় মেসার্স আব্দুল খালেক কনস্ট্রাকশন।

২০১৪ সালে এর কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও, শেষ হয় ২০১৭ তে। ওই বছরের ১৪ মার্চ লক্ষ্মীপুর সফরে এসে ভবনটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। তবে, উদ্বোধনের চার বছরেও হস্তান্তর হয়নি ভবন। বাধ্য হয়ে জরাজীর্ণ ভবনেই ঝুঁকি নিয়ে চলছে বিচারকাজ। বিচারকদের কক্ষ সমস্যায় লেগেই থাকে মামলা জট।

আইনজীবীরা বলছেন গণপূর্ত বিভাগ ও ঠিকাদারের গাফিলতিতে ভবনটি এখনো হস্তান্তর হয়নি।

লক্ষ্মীপুর জজ কোর্টের সরকারি কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন বলেন, ‘পুরাতন জরাজীর্ণ বিল্ডিংয়ে বিচারকাজ সম্পন্ন করতে হয়। অতিদ্রুত যেন এই বিল্ডিংটি সিজিএম এর কাছে হস্তান্তর করা হয়।’

জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘কাজে অত্যন্ত নিম্নগতি এবং কন্ট্রাক্টর ও ইঞ্জিনিয়ারদের গাফিলতির কাজ যথাযথভাবে হয়নি। তাই কাজও শেষ হচ্ছেনা।’

এ বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি নয় গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী ফারজান আনোয়ার। তিনি জানান, ভেরিয়েশনটা পাস হয়ে গেলেই ঠিকাদার মোটামুটি ফ্রিলি কাজ করতে পারবে। তার কিছু টাকা আটকে থাকার কারণে সে তুলতে পারেনি টাকা। ১৫ থেকে ১৬ দিনের মধ্যেই ভবনটি ব্যবহার উপযোগী করতে উদ্যোগ নেয়া হবে।

ঝুঁকি বিবেচনা করে ও দ্রুত বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনার স্বার্থে ভবনটি দ্রুত হস্তান্তর করবে কর্তৃপক্ষ, প্রত্যাশা জেলাবাসীর।