শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে অগ্রাধিকার পাবে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা

শিক্ষা

স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফেব্রুয়ারিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার প্রস্তুতি। অগ্রাধিকার পাবে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা।

ফেব্রুয়ারিতে স্কুল কলেজ খোলার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। এজন্য চৌঠা ফেব্রুয়ারির মধ্যে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে প্রস্তুতি শেষ করতে বলা হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাশ-পরীক্ষা নেয়ার একটি নির্দেশনাও প্রতিষ্ঠানগুলোতে পাঠিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। এতে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেয়ার কথা বলা হয়েছে। ক্লাশ-পরীক্ষার ব্যাপারে নতুন পদ্ধতির কথাও ভাবা হচ্ছে।

করোনা মহামারি, দশ মাসের বেশী স্কুল কলেজ বন্ধ। শিক্ষা ক্ষেত্রে তৈরি হয়েছে বড় জটিলতা। স্বাস্থ্যবিধি মানার চেষ্টার মধ্যে দিয়ে দেশে অন্য কাজ কর্ম চলছে। এ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বজায় রেখে ক্লাশ পরীক্ষা শুরুর ব্যাপারে ভাবা হচ্ছে।

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুললে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার্থীরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাবে। এদের তুলনায় অন্য শিক্ষার্থীদের ক্লাশ একটু কম হতে পারে।

তবে নির্দেশনা হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধির কঠোরতার ওপর।

সেগুলো হচ্ছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবস্থানকালে শিক্ষার্থী, শিক্ষক, স্টাফ ও সংশ্লিষ্ট সবার সবসময় মাস্ক পরিধানের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা। শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কার্যক্রমে ৩ ফুট শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা। একসাথে বেশি মানুষের জমায়েতকে নিরুৎসাহিত করা; নির্দিষ্ট সময় পর পর নিয়ম মেনে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার বা পরিষ্কারের ব্যবস্থা করা। হাঁচি-কাশির শিষ্টাচার পালন করা ও উৎসাহিত করা। মেঝেসহ সব এলাকা প্রতিদিন নিয়মিত পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত পানি, স্যানিটেশন এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার সুবিধা রাখা। শরীরের তাপমাত্রা পরিমাপ করা এবং কেউ অসুস্থ-আক্রান্ত হলে, তাৎক্ষণিক ব্যবস্থার পাশাপাশি অন্যদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও কমিউনিটির মধ্যে নিয়মিত যোগাযোগ ও সহযোগিতার মাধ্যমে গুজবের আতংক ও মহামারির বিস্তার রোধে শিক্ষার্থীসহ সবার অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।

তবে ক্লাশ ও পরীক্ষা পরিচালনা পদ্ধতি এখনও তৈরি হয়নি। এ বিষয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক বলেন, এ নির্দেশনা আমরা কয়েকদিনের মধ্যেই দিয়ে দিব যে কোন শ্রেণি কয়দিন বা কয়টা করে ক্লাশ পাবে। কীভাবে ক্লাশ করলে সামাজিক দুরত্বটা বজায় থাকবে।

শুধু ক্লাশ পরীক্ষা নয় বা পাঠ্যসূচিতে শিক্ষার্থীদের আটকে না রেখে, তাদের জন্য আনন্দঘন পরিবেশ সৃষ্টিতে মনোযোগী হতে বলা হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে।