চীনের সঙ্গে ব্যবসা ও বিনিয়োগ বাড়াতে চায় বাংলাদেশ। বিশেষ করে রপ্তানিমুখী শিল্প কারখানা স্থাপনে বেইজিংয়ের মনোযোগ আকর্ষণে আগ্রহী ঢাকা। বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-বিডা ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক আয়োজিত চীন-বাংলাদেশ বিনিয়োগ সম্মেলনে এসব কথা বলেছেন সরকারের নীতিনির্ধারকরা।
অনলাইনে আয়োজিত ঐ সম্মেলেনে চীনের উদ্যোক্তারা বলেন, অভ্যন্তরীণ বাজার এবং বহি:বাণিজ্য -দুই বিবেচনাতেই বাংলাদেশ অত্যন্ত আকর্ষণীয় গন্তব্য। কিন্তু সড়ক অবকাঠামো আর কারখানা স্থাপন প্রক্রিয়া সহজ করতে হবে।
যদিও বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান দাবি করেছেন, করনীতি, আইনি সুরক্ষা, বহুসংখ্যক শিল্পে বিনিয়োগের সুযোগ, ওয়ানস্টপ সার্ভিসসহ নানামুখী সুযোগ সুবিধার কারণে, যে কোন দেশের চেয়ে চীনা ব্যবসায়ীদের জন্য বাংলাদেশে বিনিয়োগ লাভজনক। চীনের বাজারে ৮ হাজারের বেশি পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাওয়া যাচ্ছে। এই সুযোগ গ্রহণের জন্য চীনা কোম্পানিকে আহ্বান করেন এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম।
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন,’চীন তাদের শিল্প কারখানাগুলোকে উচ্চতর প্রযুক্তির দিকে নিয়ে যাচ্ছে। আর তাই প্রচলিত অনেক কারখানা তারা উন্নয়ণশীল দেশে নিয়ে যেতে চায়। আমাদের সরকারও বিনিয়োড় আকর্ষণে আগ্রহী আর তাই চীনের মতো দেশগুলোর জন্য আমাদের বিনিয়োগ নীতিমালা সবচেয়ে সহজ এবং লাভজনক।’
প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান জানান,’বাংলাদেশে ব্যবসা করার খরচ এ অঞ্চলে সবচেয়ে কম। ভৌগলিকদিক দিয়ে বাংলাদেশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে।’