সরকারের আশ্বাসে সারাদেশে নৌ-ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছে শ্রমিকরা। রাত থেকেই শুরু হয়েছে লঞ্চ চলাচল। এর আগে লঞ্চ দুর্ঘটনা মামলায় দুই মাস্টারের জামিন বাতিল করায় ঢাকা থেকে দেশের সব রুটে নৌযান শ্রমিকরা কর্মবিরতির ডাক দেয়।
সদরঘাটে নৌশ্রমিক নেতা ও লঞ্চ মালিকদের সাথে বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান বৈঠকে আশ্বাস দিলে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হয়। এর আগে দুপুর ২টা থেকে এই কর্মবিরতির ঘোষণা দেন শ্রমিক নেতারা।
এর আগে দুই লঞ্চ মাস্টারের জামিন বাতিলের প্রতিবাদে দুপুরে এই ধর্মঘটের ডাক দেন নৌযান শ্রমিকরা। শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে ঢাকা থেকে বরিশালসহ দেশের দূরপাল্লার কোনো রুটে আজ লঞ্চ ছেড়ে যাবে না বলে জানিয়েছিল বিআইডব্লিউটিএ। যাত্রীদের বিকল্প পথে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানায় কর্তৃপক্ষ। তবে সন্ধ্যার পর নৌযান শ্রমিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ। সেখান থেকে ধর্মঘট প্রত্যাহারের ঘোষণা আসে।
এক বছর আগে চাঁদপুরের হরিনাঘাটে অ্যাডভেঞ্চার-১ ও অ্যাডভেঞ্চার-৯ লঞ্চের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। কেউ মারা না গেলেও লঞ্চ দুটি ওই ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ নিয়ে মেরিন আদালতে যে মামলা হয়েছিল, তাতে দুই লঞ্চের মাস্টার রুহুল আমিন ও জামাল হোসেন জামিনে ছিলেন। সোমবার তারা সেই মামলায় হাজিরা দিতে গেলে আদালত জামিন বাতিল করে তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেয়।
এর প্রতিবাদে নৌ শ্রমিকরা কর্মবিরতিতে গেছে জানিয়ে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাহ আলম চৌধুরী জানান, চার মাস এই দুজনের সার্টিফিকেট ‘হোল্ড’ করে রাখার প্রতিবাদে এবং তাদের জামিন না দেয়ায় শ্রমিকরা প্রতিবাদ জানাতে ঘাট থেকে লঞ্চ সরিয়ে নিয়েছে।