সাকিব-তামিম-রিয়াদ-মুশফিক, এক ম্যাচে চারজনের ফিফটি

খেলাধুলা

সাকিব-তামিম-রিয়াদ-মুশফিক। এক ম্যাচে ফিফটি করলেন চারজনই। এই নিয়ে তৃতীয়বার একই ম্যাচে চার ফিফটি বাংলাদেশের।

কথায় আছে ক্যাপ্টেন লিডিং ফ্রম দ্য ফ্রন্ট। সেই কপিবুক ক্রিকেটটাই ফলো করলেন বাংলাদেশ ড্যাশিং ওপেনার তামিম ইকবাল খান। প্রথম অ্যাসাইনমেন্টে মার্ক একশোতে একশো। প্রথম ম্যাচে ৪৪ এর পর ব্যাক টু ব্যাক ফিফটি তামিমের। তৃতীয় ওয়ানডেতে অবদান রাখলেন বড় রানের যোগান দিয়ে, আদায় করেন ক্যারিয়ারের ৪৯তম ফিফটি। তবে আক্ষেপেও পুড়েছেন, নিজের হোম গ্রাউন্ডে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারটা যে হেলায় নষ্ট করেছেন।

অধিনায়কত্বের শুরুটা নিয়েও নানা মহলে ছিলো নানা প্রশ্ন। কিন্তু সঠিক জায়গায় সঠিক সময়ে যখন পূর্ণশক্তির বাংলাদেশ দলটা পেলেন তখন মূল মঞ্চে হতাশ করেননি কাপ্তান। তামিম ইকবাল জানান, ‘১০ মাস পর ক্রিকেটে ফিরে ছেলেরা দারুণ পারফর্ম করেছে। পেসারদের কথা আলাদা করে বলতেই হয়। স্পিনাররাও কন্ডিশন দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছে। সব মিলিয়ে আমরা সন্তুষ্ট।’

অধিনায়ক যুগে তামিমের শুরুটা হলো দুর্দান্ত। পিছিয়ে থাকবেন কেন বন্ধু সাকিব! ঘরের মাঠে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ৩০০ উইকেটের সাথে ছয় হাজার রান। গোটা ক্রিকেট দুনিয়ায় আর নেই কারো। প্রত্যাবর্তনের সিরিজে অলরাউন্ড পারফরমেন্সে সাকিব জানান দিয়েছেন নিষেধাজ্ঞায় স্কিলে মরচে ধরেনি।

সাকিব আল হাসান বলেন, ‘খেলায় ফিরতে সতীর্থ বা টিম ম্যানেজমেন্ট দারুণ সহযোগিতা করেছে। প্রথম ম্যাচটায় মানিয়ে নিতে একটু সময় নিয়েছি। এরপর আস্তে আস্তে ঠিক হয়ে গেছে। ফিরেই সিরিজ সেরা হতে পারাটা দারুণ।’

খর্বশক্তির ওয়েস্ট ইন্ডিজের পর ফেব্রুয়ারি-মার্চে নিউজিল্যান্ড সফর। পেস আর বাউন্সি কন্ডিশনের সামনে গোটা দল নিয়ে তামিম-সাকিবরা কিভাবে রণক্ষেত্রে ঝাঁপ দেন আর সাকসেস তুলে আনেন সেটাই দেখার বিষয়।