চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটের ফলাফল যাই হোক মেনে নিবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী।
আজ বুধবার (২৭ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের বহদ্দারহাটের এখলাসুর রহমান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী। ভোট প্রদান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, “উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হচ্ছে। বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বলে দেয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ হচ্ছে। ফলাফল যাই হোক তা মেনে নেব।”
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জয় নিয়ে শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করেন রেজাউল করিম চৌধুরী। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই বিএনপি প্রার্থী মিথ্যা অভিযোগ করছেন বলেও জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের এই মেয়র প্রার্থীর শুরুটা মাত্র ১৪ বছর বয়সে ছাত্রলীগ দিয়ে। পরে যুবলীগ হয়ে আওয়ামী লীগ। দলের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন শেষে বর্তমানে নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। রাজনীতিতে পুরনো মুখ, তবে সবসময় ছিলেন আলোচনার বাইরে। সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার প্রতিবাদসহ বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ছিলেন অগ্রভাগে।
১৯৫৩ সালে চান্দগাঁও থানার ষোলশহরের ঐতিহ্যবাহী বহরদার জমিদারে পরিবারে জন্ম রেজাউলের। ১৯৬৭ সালে স্কুলে পড়ার সময় যুক্ত হন ছাত্রলীগের রাজনীতিতে। ১৯৬৯-১৯৭০ সালে চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও ১৯৭০-১৯৭১ সালে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
ছাত্রাবস্থাতেই যোগ দেন মহান মুক্তিযুদ্ধে। এক নম্বর সেক্টরের বিএলএফ-এর মাধ্যমে অংশ নেন গেরিলা যুদ্ধে। ছিলেন পাঁচলাইশ ও কোতয়ালী থানা এলাকার সশস্ত্র বীর যোদ্ধা।
মুক্তিযুদ্ধ শেষে আবারো ছাত্রলীগে। ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে পড়ার সময় উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
পচাত্তরে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর সামরিক দুঃশাসনের বিরুদ্ধে নামেন সক্রিয় প্রতিরোধে। ফলে অংশ নিতে পারেননি আর আইন পরীক্ষায়। ১৯৮০ সালে হন চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সদস্য।
১৯৯৭ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক, ২০০৬ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তিনি নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরী।
চট্টগ্রামের রাজনীতিতে কখনই আলোচনায় না থাকা রেজাউল করিম চৌধুরী ক্লিন ইমেজের রাজনীতিবিদ হিসাবে পরিচিত।