শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা: ২৭ জানুয়ারি যুক্তিতর্কের শেষদিন

বাংলাদেশ

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলার যুক্তিতর্কের শেষ পর্যায়ে এসে মুলতবি করা হয়েছে। শেষদিন হিসেবে বুধবার ফের দিন ধার্য করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) আসামিপক্ষ ও রাষ্ট্রপক্ষের মতামত সাপেক্ষে সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক হাকিম মোঃ হুমায়ুন কবীর এ দিন ধার্য করেন। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম মুনীর, সহকারি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন মৃধা, সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফসহ অসংখ্য আইনজীবি। অন্যদিকে আসামিপক্ষের শুনানিতে অংশ নেন হাইকোর্টের অ্যাড. শাহানারা আক্তার বকুল, অ্যাড. আব্দুল মজিদ (২), অ্যাড. মিজানুর রহমান পিন্টু, অ্যাড. এবিএম সেলিম, অ্যাড. অসীম কুমার প্রমুখ।

১৯তম সাক্ষীর জেরা ও জবানবন্দি নিয়ে যুক্তিতর্ক শেষে বুধবার দুপুর ১টার মধ্যে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা, চারজন সাফাই সাক্ষীর জবানবন্দি ও জেরা পর্যালোচনা ও আইনি ব্যাখ্যা শেষ করবেন বলে আদালতকে আশ্বস্ত করেন। এ মামলায় ৩০ জন স্বাক্ষীর মধ্যে ২০ জন স্বাক্ষীকে আদালতে উপস্থাপন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ।

প্রসঙ্গত ,২০০২ সালের ৩০ আগষ্ট বেলা ১১টার দিকে তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরার কলারোয়ায় মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে দেখে যশোরে ফেরার উদ্দেশে রওনা হন। কিন্তু কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে তৎকালীন সাংসদ হাবিবুল ইসলাম হাবিবের নির্দেশে বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মীরা দলীয় অফিসের সামনে একটি যাত্রীবাহী বাস রাস্তার ওপরে দাঁড় করে দিয়ে তার গাড়ি বহরে হামলা চালায়। হামলায় তৎকালীন জেলা আ.লীগের সভাপতি প্রকৌশলী শেখ মুজিবুর রহমান ও সাংবাদিকসহ কমপক্ষে এক ডজন দলীয় নেতাকর্মী আহত হয়। এ ঘটনায় ওই বছরের ২ সেপ্টেম্বর কলারোয়া মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মোসলেমউদ্দিন বাদী হয়ে যুবদল নেতা আশরাফ হোসেন, আব্দুল কাদের বাচ্চুসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৭০/৭৫ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বিভিন্ন আদালত ঘুরে মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর এজাহার হিসেবে গণ্য করা হয়। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক শফিকুর রহমান ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।