ঋণের কিস্তি পরিশোধে ছাড়ের মেয়াদ আর বাড়ছে না

বাংলাদেশ

চলতি জানুয়ারি থেকেই ঋণের কিস্তি পরিশোধ শুরু করতে হবে গ্রহীতাদের। করোনার কারণে দেয়া কিস্তি প্রদানে শিথিলতার সময় আর বাড়ছে না।

২৭ মার্চ ২০২০ থেকে করোনার কারণে সাধারণ ছুটি শুরু হলে থমকে যায় দেশের অর্থনীতির চাকা। ব্যবসা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় উদ্যোক্তাদের টিকিয়ে রাখতে ঋণের কিস্তি আদায়ে নমনীয় হওয়ার নির্দেশ দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। কয়েক দফায় বলা হয় ২০২০ সালে নতুন করে কোনো ঋণকে খেলাপি করা যাবে না। ব্যাংকাররা বলছেন, এখন পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করেছে।

মধুমতি ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী সফিউল আজম বলেন, করোনা মহামারির ফলে অনেকদিন সরকারি ছুটি ছিল। ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান,কল-কারখানা বন্ধ ছিল। কিন্তু বছর শেষে আমরা দেখতে পেয়েছি যতটা আশংকা করা হয়েছিল ব্যাংকের ফলাফলে অতটা খারাপ কিছু হয়নি।

ব্যাংকাররা চান, চলতি জানুয়ারি থেকেই ঋণের কিস্তি হালনাগাদ শুরু হোক।

সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী আতাউর রহমান প্রধান বলেন, ব্যবসায় একটা পজিটিভ হাওয়া এসেছে। লেনদেন যদি হয়,প্রোডাকশন যদি ঠিকঠাক মত হয় তাহলে তাদের কিস্তি দিতে কোন সমস্যা হবে বলে আমি মনে করি না। সরকার থেকে যদি কিস্তি পরিশোধের সময় সীমা বৃদ্ধি নাও করে আমার মনে হয় ব্যবসায়ী মহল এগিয়ে আসবেন।

তবে ব্যবসায়ীরা মনে করেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের দেয়া এ সুবিধা একবারে প্রত্যাহার করা উচিত হবে না। তাদের মতে, করোনার ক্ষত সারাতে ধাপে ধাপে আগের স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরা উচিত।

এফবিসিসিআই সাবেক সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমেদ বলেন, ব্যাংকে কিন্তু সবার কাছে টাকা উদ্ধৃত আর এটা প্রমাণ করে যে ব্যবসা এখনো আগের মত হতে পারে নাই। কারো যদি কিস্তি হয় একশ টাকা তাহলে চল্লিশ থেকে ষাট দিলে কিন্তু সমস্যা হবে না। এমনভাবেই সিস্টেম করা উচিত।

সেই সঙ্গে দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারিসহ খাত ভিত্তিক ক্ষতি চিহ্নিত করে ঋণের কিস্তি শুরুর বিষয়টি পর্যায়ে ক্রমে শুরু করারও তাগিদ দিলেন এই ব্যবসায়ী নেতা।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঋণ পরিশোধে ছাড়ের মেয়াদ আর না বাড়ালে চলতি জানুয়ারি থেকেই খেলাপি ঋণের হিসাব কষতে পারবে ব্যাংকগুলো।