তৃতীয় ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে ব্যস্ত সময় কাটছে প্রার্থীদের

সকল জেলা

তৃতীয় ধাপের পৌরসভা নির্বাচনে শেষ দিনের প্রচার-প্রচারণায় সরগরম নির্বাচনি মাঠ। উন্নয়নের নানা আশ্বাসে ভোটারদের কাছে টানতে ব্যস্ত সময় কাটছে প্রার্থীদের।

খুলনার পাইকগাছা পৌরসভায় পঞ্চমবারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে ভোট। বিএনপির প্রার্থী মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেয়ায় মেয়র পদে ভোটের লড়াই হবে আওয়ামী লীগ ও কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে।

পৌরসভা গঠনের দীর্ঘ ২৩ বছরেও সুপেয় পানির সংকট ও জলাবদ্ধতা নিরসন না হওয়ায় এবার এসব ইস্যুকে পুঁজি করে ভোটারদের কাছে টানতে ব্যস্ত প্রার্থীরা।

কমিউনিস্ট পার্টি মনোনীত মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট প্রশান্ত মন্ডল বলেন, “পৌরসভায় নির্বাচিত হলে প্রথম কাজ হবে জলাবদ্ধতা নিরসন করা।”

আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ সেলিম জাহাঙ্গীর বলেন, “একটি ভালো পরিকল্পনার মাধ্যমে আমরা মানুষের কাছে সুপেয় পানি পৌঁছে দিতে চাই। সবাই যেন সুপেয় পানি পায় সেটা নিশ্চিত করাই হবে প্রথম কাজ।”

একই দিনে হবে চুয়াডাঙ্গার দর্শনা পৌরসভার ভোটগ্রহণ। এ পৌরসভায় মেয়র পদে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির একক প্রার্থী থাকায় ফুরফুরে মেজাজে প্রচারণা চালাচ্ছেন দুই দলের নেতাকর্মীরা। তবে ভোটাদের মন জয়ে সবাই দিচ্ছেন উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি।

আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মতিয়ার রহমান বলেন, “দর্শনাকে পর্নাঙ্গ স্থলবন্দর করা, এলাকার উন্নয়ন সাধনের মধ্যে দিয়ে এই পৌরসভাকে একটি মডেল পৌরসভা হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।”

বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী হাবিবুর রহমান বুলেট বলেন, “সাধারণ ভোটাররা যদি নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে যেতে পারেন এবং ভালোমতো ভোট দিতে পারেন তাহলে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত হবে বলে আমি আশাবাদী।”

স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী আশকার আলী বলেন, “২৫ বছর ধরে এ এলাকায় যা দেখেছি তাই রয়েছে, কোন উন্নয়ন হয়নি। কত টাকা আয় হয়, কত টাকা ব্যয় হয় তা আমি জানি না। সেজন্য আমি কোন প্রতিশ্রুতি দিতে পারছি না।”

দিনাজপুরের হাকিমপুর পৌরসভা নির্বাচন ঘিরে বিভিন্ন এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ চার মেয়র প্রার্থী। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী সবাই।

হাকিমপুর পৌরসভার আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী জামিল হোসেন চলন্ত বলেন, “গত পাঁচ বছরে যে কাজগুলো সম্পন্ন করা সম্ভব হয়নি সেই কাজগুলো পৌরবাসীর জন্য সম্পন্ন করতে চাই।”

বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী শাখাওয়াত হোসেন শিল্পী বলেন, “একটি মাস্টার প্লানের মাধ্যমে আমরা এই পৌরসভার উন্নয়ন করতে চাই এবং এটিকে একটি ডিজিটাল পৌরসভা হিসেবে উন্নীত করতে চাই।”

স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী মিশর উদ্দীন সুজন বলেন, “সঠিক উন্নয়নের স্বার্থে হাকিমপুরের জনগণ আমকে ভোট দিবেন এবং বিজয়ী করবেন বলে আমি অশাবাদী।”

সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন করতে সব প্রস্তুতি নেয়ার কথা জানিয়েছেন নির্বাচন কর্মকর্তা।