মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ: সামরিক হামলার হুমকি প্রত্যাখ্যান ইরানের

আন্তর্জাতিক

বাইডেন প্রশাসন স্বাধীন, পূর্ববর্তী মার্কিন সরকারের মতো তারা ইসরাইলি কমান্ড অনুসরণ করবে না বলে মন্তব্য করেছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানীর চিফ অফ স্টাফ মাহমুদ ভায়েজি।

কাতারভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এমনটি জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলি সেনা কর্মকর্তার ওই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় বুধবার (২৭ জানুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকের পর মাহমুদ ভায়েজি বলেন, “জায়নিস্ট সরকারের কিছু কর্মকর্তা মনে করেন যে ওয়াশিংটনকে তারা যা বলবে তাই মেনে নেবে। তবে আমি বিশ্বাস করি, নতুন মার্কিন প্রশাসনের নিজস্ব স্বাধীনতা আছে- ঠিক যেমন অন্যান্য দেশগুলোরও তাদের নিজস্ব স্বাধীনতা রয়েছে।”

গত মঙ্গলবার (২৬ জানুয়ারি) তেল আবিব বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অফ ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্টাডিজে দেয়া এক ভাষণে আমির কাহাভি বলেছিলেন, ইরানের বিরুদ্ধে ইসরাইলের সামরিক হামলার পরিকল্পনাগুলো সতেজ করা হচ্ছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ২০১৫ সালে তেহরানের সাথে করা পরমাণু চুক্তিতে যদি প্রত্যাবর্তনের কোন ধরনের চেষ্টা করে, তবে তা হবে বড় ‘ভুল’।

এর আগে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে ইরানের সাথে করা পারমাণবিক চুক্তি পরিত্যাগ করেছিলেন এবং ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সেই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। ইরানের পারমাণবিক অস্ত্র বিকাশের সম্ভাবনার বিষয়ে বারবার সতর্কও করে আসছেন নেতানিয়াহু।

এদিকে গেল সপ্তাহে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেছিলেন, ইরানের সাথে পারমাণবিক চুক্তিতে আবারও যোগ দেয়া হবে কিনা তা স্থির করতে অনেকদিন ধরেই চিন্তা করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। তবে তেহরান ঐতিহাসিক এই চুক্তি মেনে চলতে কী কী করেছেন তাও খতিয়ে দেখা হবে।