সূর্যমুখী ফুল চাষ করে লাভবান হওয়ার স্বপ্ন দেখছেন কিশোরগঞ্জের নিকলীর কয়েকজন কৃষক। কম খরচে বেশি লাভ হওয়ায় সূর্যমুখী ফুল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন তারা। এদিকে, ফরিদপুরেও দিনদিন বাড়ছে সূর্যমুখীর আবাদ।
কিশোরগঞ্জের নিকলী ও হাওরাঞ্চলসহ জেলায় মোট ৩৩৫ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করা হয়েছে। সূর্যমুখী চাষে বিঘা প্রতি খরচ হয় ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা আর উৎপাদিত বীজ বিক্রি হয় ১১ থেকে ১৫ হাজার টাকা। বীজ রোপণের ৯০ থেকে ১০৫ দিনের মধ্যে ফুল থেকে বীজ ঘরে তোলা যায়।
ফুল ফোটার শুরু থেকেই প্রতিদিন হাজার হাজার দর্শনার্থী সূর্যমুখী বাগানে আসতে শুরু করেছেন।
বানিজ্যিক ভাবে এ ফুল থেকে তেল উৎপাদন করতে পারলে মানুষ স্বাস্থ্যসম্মত তেল পাবে বলে জানায় কৃষি বিভাগ। কিশোরগঞ্জ কৃষি উদ্যানের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মুহাম্মদ মতিয়ার রহমান বলেন, ‘সরিষা আবাদ করে যে পরিমাণ লাভ হয় তার চেয়ে বেশি লাভবান হবে সূর্যমুখী আবাদ করে। সূর্যমুখীর তেল গুনগত মানের দিকে অনেক বেশি ভালো সরিষা ও সয়াবিনের থেকে। এ তেলের চাহিদাও বেশি।’
এদিকে ফরিদপুরে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন-বিএডিসি খামারে রোপন করে শুরু হয়েছে সূর্যমুখী চাষ। প্রাকৃতিক মনোমুগ্ধকর শোভা বর্ধনের পাশাপাশি নিরাপদ ঝুঁকিমুক্ত তেলের কারণে জেলার চাষিরা এখন সূর্যমুখী ফুল চাষের দিকে ঝুঁকছে।
সূর্যমুখী তেল নানা ধরনের রোগের নিরাময়ে কাজ করে ফলে দিনদিন এর চাষের বিস্তার বাড়ছে বলে জানান ফরিদপুর কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের উপ-পরিচালক মাহমুদুল হাসান জিয়া। তিনি বলেন, ‘সূযমুখীর বীজে ক্যানসার, অ্যাজমা, উচ্চ রক্তচাপ ও শরীরে কোলেস্টেরল কমাতে সহায়তা করে। শুুধু তেল হিসেবেই নয় বাসা-বাড়ির সৌন্দর্য বর্ধনেও ব্যবহৃত হচ্ছে।’