শারীরিক অসুস্থতার কারণে সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা বানাতে না পারায় গৃহকর্মী সাবিনাকে নির্যাতন করে হত্যার করে মেরিন ইঞ্জিনিয়ার আবুল খায়ের ও তার স্ত্রী রিফাত জেসমিন।
শুক্রবার দুপুরের পিবিআই ময়মনসিংহ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান, পিবিআই পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশাস।
তিনি জানান, সে দিন বাসায় মেহমান ছিলো। অসুস্থতার করাণে সকালে উঠে নাস্তা বানাতে পারেনি সাবিনা। মেহমান চলে যাবার পর সাবিনার ওপর নির্যাতন শুরু করে ওই দম্পতি। এক পর্যায়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে তাকে। এর পর রাতের বেলায় তার মরদেহ লাগেজে ভরে ফেলে আসে ময়মনসিংহ কিশোরগঞ্জ সড়কের পাশে ।
নিহত সাবিনা, সদর উপজেলার উজান ঘাগড়া গ্রামের সিরাজুল ইসলামের মেয়ে।
গৌতম কুমার বিশাস আরও জানান, গত ৮ই নভেম্বর হত্যার করা হয় সাবিনাকে। সেদিন রাতেই তার মরদেহ বাস্তায় ফেলে আসে তারা। পরের দিন ৯ই নভেম্বরে ময়মনসিংহের গৌরিপুরের গঙ্গাশ্রম এলাকায় সড়কের পাশে লাগেজের ভিতর থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার করে গৌরীপুর থানা পুলিশ। এরপর এ ঘটনায় তদন্তের দায়িত্ব পায় পিবিআই ময়মনসিংহ। তদন্তে নেমে গৃহর্কতা ইঞ্জিনিয়ার আবুল খায়ের ও তার স্ত্রী রিফাত জেসমিনকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। পরে ওই দম্পতি হত্যার বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
ময়মনসিংহ শহরের তৈমুর এক্সেল টাওয়ারের ১৪ তলায় বসবাস করতো এ দম্পতি। সেখানেই হত্যা করা হয় সাবিনাকে। সামান্য ভুল ত্রুটি হলে শারীরিক ও মানষিক নির্যাতন করা হতো সাবিনার ওপর। তাকে বাবা মায়ের সাথে দেখা করা ও কথা বলাও বন্ধ করে দেয়া হতো বলে জানান গৌতম কুমার বিশাস।