ঝালকাঠির ৪১টি বেইলি ব্রিজ ঝুঁকিপূর্ণ

সকল জেলা

দীর্ঘদিন সংস্কার না করায় ঝালকাঠি জেলার সবগুলো বেইলি সেতুই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। মাঝে মাঝে জোড়াতালি দিয়ে সচল রাখা হলেও কিছুদিন পর আবার যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে সেগুলো।

ঝালকাঠির বাসন্ডা নদীর ওপর একটি বেইলি ব্রিজ নির্মিত হয় আশির দশকে। চার বছর আগেই এটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ঘোষণা করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। কিন্তু তারপরও প্রতিদিন এই সেতুর ওপর দিয়ে যাতায়াত করে শত শত যানবাহন। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় আলগা হয়ে গেছে সেতুটির স্লাব। প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা, আহত হয়েছেন অনেকে।

স্থানীয়রা বলছেন, ছোট ছোট গাড়ি নিয়েই তারা যখন এই ব্রিজ পার হন তখনই ভয়ে থাকেন যে কখন যেন দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হয়। যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে মুহূর্তেই।

শুধু এটাই নয়, সদর উপজেলার কীর্ত্তিপাশা ইউনিয়নের বেশাইনখান ও তারাপাশার ২টি, রাজাপুরের বাগড়ী এবং নৈকাঠিসহ জেলার ৪১টি বেইলি সেতুই ঝুঁকিপূর্ণ। দ্রুত মেরামত বা নতুন সেতু নির্মাণ করা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা এলাকাবাসীর।

স্থানীয়রা বলেন, এটার সংস্কার না করে বরং পুনঃনির্মাণ প্রয়োজন, তাছাড়া যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।

ঝালকাঠির উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ সেতুগুলোর জায়গায় নতুন ব্রিজ ও কার্লভার্ট নির্মাণে পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু হবে।’