আসন্ন ৩০ জানুয়ারির ফেনী পৌরসভা নির্বাচনে ১৯ দফা উল্লেখ করে ইশতেহার প্রদান করেছেন বিএনপি মনোনিত মেয়র প্রার্থী আলাল উদ্দিন আলাল।
বৃহস্পতিবার (২৮ জানুয়ারি) রাতে শহরের একটি মিলনায়তনে গণমাধ্যম কর্মীদের সামনে তিনি এ ইশতেহার উল্লেখ করেন।
ইশতেহারগুলো হলো:
১. পরিকল্পিত নগরায়নসহ সবুজায়ন সন্ত্রাস ও মাদক মুক্ত এবং নান্দনিক পৌরসভা গঠন করা।
২. পাগলিছড়ি, দমদমা খাল, মধুয়াই খাল, ভোলভালক খাল সংস্কারপূর্বক জলাবদ্ধতা নিরসন করে ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন, রাতের মধ্যে বর্জ্য অপসারণসহ রাস্তাঘাট পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখা।
৩. বর্তমানে ডোবা নালা পরিষ্কারের নামে পৌরসভার লক্ষ লক্ষ টাকা লোপট করা হচ্ছে। আমি তাহা করবোনা। আমি সত্যিকারের ময়লা আবর্জনা পরিষ্কারের ব্যবস্থা করে বাসযোগ্য একটি আধুনিক শহর গড়ে তুলবো।
৪. পৌরবাসীর ছেলেমেয়ের শিক্ষার উন্নয়নে নূন্যতম একটি করে বালক/ বালিকাদের জন্য মানসম্মত মাধ্যমিক স্কুল প্রতিষ্ঠা করে দুইটি সরকারি প্রতিষ্ঠানের ওপর চাপ কমানোর জন্য কাজ করা।
৫. যানজট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাসহ হকারদের পুর্নবাসনসহ ফুটপাত অবমুক্ত করে জনগণের ওয়াকওয়ে পুনরুদ্ধার করা।
৬. হকারদের পুর্নবাসনপূর্বক রাজাঝির দিঘির সৌন্দর্যবর্ধন করে মানুষের সকাল-বিকাল নির্বিঘ্নে হাঁটার ব্যবস্থা করা।
৭. জহির রায়হান হল পুনঃপ্রতিষ্ঠাসহ শিশু কিশোর যুবক-যুবতীদের সাংস্কৃতিক চর্চার সুযোগ সৃষ্টি করা।
৮. পৌরসভার উদ্যোগে বিনোদন পার্ক স্থাপনসহ কমিউনিটি সেন্টার নির্মাণ এবং মা এবং শিশুদের সময়মত টিকা দেয়ার স্থান বিন্যাস করা।
৯. কিশোরদের খেলাধূলা ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে ফিরিয়ে এনে বিপদগামীতা থেকে রক্ষা করবো এবং বাঁচাবো কিশোরদের পরিবারকে।
১০. শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে গণশৌচাগার নির্মাণ করা।
১১. যানযট নিরসনে শহরে অবৈধ বাস/ সিএনজি/টমটম/ব্যাটারি চালিত রিকশা চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা।
১২. ফেনী শহর এখন যানজটের শহর। চাঁদার বিনিময়ে অবৈধ বাস/ সিএনজি টার্মিনাল গড়ে তোলা হয়েছে। আমি এসব অবৈধ টার্মিনাল উচ্ছেদ করবো।
১৩. ব্যবসায়ীদের ট্রেড লাইসেন্স প্রাপ্তিতে সহজীকরণ করে ব্যবসায়ীবান্ধব হওয়া এবং দীর্ঘ মেয়াদী বাণিজ্য তাঁত বস্ত্র ও শিল্প মেলা বন্ধ করবো।
১৪. ফেনী জেনারেল হাসপাতালকে মেডিক্যাল কলেজে রুপান্তর এবং ফেনীতে পূর্নাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করার জন্য কাজ করা।
১৫. ফেনী পৌরসভার ১৪/১৫ নং ওয়ার্ডবাসীদের নিরাপদ যাতায়াতের জন্য লালপোলে ওভারপাস নির্মাণের জন্য কাজ করা।
১৬. ফেনী পৌরসভাকে দলীয় কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করবোনা এবং সকল টেন্ডার প্রকৃত ঠিকাদারদের জন্য উন্মুক্ত করব।
১৭. মেয়র নির্বাচিত হলে কোন প্রকার ভাতা গ্রহণ করবো না।
১৮. অবহেলিত ওয়ার্ড সমূহে উন্নয়ন কর্মকাণ্ড অব্যাহত রেখে নাগরিক সুবিধা প্রদান করা।
১৯. বর্তমানে পৌরসভার আশপাশে রমরমা নিরাপদ মাদক ব্যবসা চলছে। আমি নির্বাচিত হলে তাদের এসব কর্মকাণ্ড বন্ধ করবো। মাদকমুক্ত শহর গড়ার আপ্রাণ চেষ্টা করবো।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ,জেলা বিএনপির আহ্বায়ক শেখ ফরিদ বাহর, যুগ্ম আহ্বায়ক এম এ খালেক, ইয়াকুব নবী, আলা উদ্দিন গঠন, গাজী হাবিবুল্লাহ মানিক, আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী, পৌর বিএনপির আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন, বাবুল, সদস্য সচিব মেসবাহ উদ্দিন ভূঞা।