লাভজনক হতে পারে ক্যাপসিকাম চাষ

সকল জেলা

প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষকদের মাঝে এখনো তেমন প্রচলিত না হলেও অনেক সৌখিন চাষি ও বেকার যুবক তাদের মাঠে শুরু করেছে ক্যাপসিকাম সবজির চাষ।

বিশ্বে টমেটোর পরেই দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ সবজি হিসাবে এই মিষ্টি মরিচ বা ক্যাপসিকাম জনপ্রিয়। এটি খাবারের সঙ্গে সালাদ বা অন্যান্যভাবে খাওয়া হয়। অভিজাত হোটেল ও বিভিন্ন বড় বড় মার্কেটে বিক্রি হচ্ছে এই সবজি। মিষ্টি মরিচ হিসাবে খ্যাত এ সবজি বিদেশি জাতের। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ’সি’ সমৃদ্ধ সবজি এই ক্যাপসিকাম। এই সবজির চাষ ছড়িয়ে দিতে পারলে বিদেশে রপ্তানির সম্ভাবনাও প্রচুর বলে জানান কৃষি কর্মকর্তারা।

ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় প্রথমবারের মতো চাষ শুরু হয়েছে এই ক্যাপসিকাম সবজির। পৌর এলাকার পাঠানপাড়া গ্রামে ৪০ শতাংশ জমিতে দোল খাচ্ছে দৃষ্টিনন্দন ক্যাপসিকাম।  চারা লাগানো হয়েছে ৫ হাজার। পরিপাটি ক্যাপসিকাম ক্ষেতের চারিদিকে বেষ্টনী। রয়েছে সেচ ব্যবস্থা ও পাহারাদার।

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নৃ-বিজ্ঞানে পাশ করা ছাত্র নেওয়াজ শরীফ উপজেলায় প্রথম মিষ্টি মরিচ চাষ করছেন। তিনি জানান, ৪০ শতক জমিতে সবজি ওঠার আগ পর্যন্ত তার খরচ হচ্ছে ৮০ হাজার টাকা। তার জমি থেকে ৫ টন ফল তোলার লক্ষমাত্রা রয়েছে। যার স্বাভাবিক বাজার মূল্য হিসাবে বিক্রি হলেও কমপক্ষে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকার এই সবজি বিক্রি করতে পারবেন।

নেওয়াজ শরীফ আরো জানান, অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মধ্যে তাইওয়ান জাতের এই সবজি বেঁলে-দোয়াশ মাটিতে চাষের জন্য উপযোগী, ৪ মাস পরেই তা উত্তোলন করা যায়। ফেব্রুয়ারি-মার্চের শুরুতেই সবুজ ক্যাপসিকাম তোলার উপযোগী হবে।

শৈলকুপা কৃষি অফিসের উপসহকারি কৃষি কর্মকর্তা মসলেহ উদ্দিন তুহিন বিজ্ঞান ভিত্তিক এই উন্নত প্রজাতির চাষ ও কৃষি খামার গড়ে তুলতে পরামর্শ ও সহযোগিতা করছেন।

শৈলকুপা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আকরাম হোসেন জানান, আগে থেকে তৈরি করে রাখা বীজতলায় ১০ সে.মি. দূরে দূরে লাইন করে বীজ বুনতে হবে। ৭-১০ দিন পর চারা ৩-৪ পাতা হলে মাঝারি আকারের পলিথিন ব্যাগে চারা স্থানান্তর করতে হয়। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ’সি’ সমৃদ্ধ মিষ্টি মরিচ খাওয়ার জন্য মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা যেতে পারে। এই সবজির চাষও লাভজনক। পাঠানপাড়া গ্রামের শিক্ষিত বেকার যুবক নেওয়াজ শরিফের ক্ষেতটি নিয়মিত দেখভাল করা হয় বলে তিনি জানান। এখান থেকে দেখে বহু যুবক এই চাষ সম্পর্কে জানতে আগ্রহ দেখাচ্ছে বলে জানান এই কর্মকর্তা।