প্রতিটি জেলায় পাঠানো হচ্ছে করোনার টিকা। এরই মধ্যে অনেক জেলায় টিকা পৌছে গেছে বলে নিশ্চিত করেছেন সিভিল সার্জনরা। ৬ই ফেব্রুয়ারির আগেই সবগুলো উপজেলায় টিকা পৌছে যাবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডাক্তার নাজমুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে দেশের প্রতিটি জেলায় করোনার টিকা পাঠানো শুরু হয়েছে।
এরই মধ্যে রাজবাড়ি, ফরদিপুর, বগুড়া, চুয়াডাঙ্গা, মুন্সিগঞ্জ, নাটোর, শেরপুর, রাজশাহীসহ ৩০ জেলার সিভিল সার্জন করোনার টিকা গ্রহন করেছেন। বগুড়ার সিভিল সার্জন ডাক্তার গউসুল আজিম চৌধুরী বলেন, নয় কার্টন টিকা এসেছে। প্রতিটি কার্টনে ১২শ’ করে ভায়েল রয়েছে। প্রতি ভায়েলে ১০জন ব্যক্তিকে টিকা দেয়া যাবে।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. জাহিদ নজরুল চৌধুরী জানান,’চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমরা ৪ কার্টন টিকা পেলাম। প্রতিটি কার্টনে আছে ১২শ’ ভায়েল। সর্বমোট ৪৮শ’ ভায়েল। এই টিকা আমরা কোন অবস্থাতেই হাসপাতাল বাদে অন্য কোথাও দিব না।’
কিশোরগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. মুজিবুর রহমান বলেন,’টেম্পারেচার মেইনটেন করে নিরাপদে পৌঁছেছে। আমরা কিশোরগঞ্জ জেলার জন্য ৯হাজার ৬শ’ ভায়েল আমরা পেয়েছি।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তিন চার দিনের মধ্যে প্রতিটি জেলায় করোনার ভ্যাকসিন পৌছে যাবে। তা প্রথমে জেলা ইপিআই সেন্টারে সংরক্ষণ করা হবে। এবং ৬ই ফেব্রুয়ারির আগে দেশের প্রতিটি থানায় তা পৌছে দেয়া হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম বলেন,’সারা বাংলাদেশে যত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স, বিশেষায়িত যে সমস্ত হাসপাতালগুলো আছে, এর বাইরে সিএমএইচ, আনসার, পুলিশ হাসপাতালসহ হাসপাতাল সেটাপে আমরা এগুলো করবো। তার বাইরে কিন্তু আমাদের সিটি কর্পোরেশন আছে।’
প্রথম মাসে ১৮ ক্যাটাগরির জনগোষ্ঠীকে টিকা দেয়া হবে। এরমধ্যে রয়েছেন কোভিড নাইন্টিনে সরাসরি সম্পৃক্ত স্বাস্থ্যকর্মী, জরুরি পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধি, ধর্মীয় প্রতিনিধি, মৃতদেহ সৎকারের কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি, বয়স্ক জনগোষ্ঠী। যারা টিকা নিতে ইচ্ছুক তাদের সুরক্ষা অ্যাপের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম আরও বলেন,’অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়ে গেছে। টিকা কেন্দ্রে যাবার আগে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হলে, কেন্দ্র এবং তারিখ জানিয়ে দেয়া হবে। এরপর রেজিস্ট্রেশনের একটি প্রিন্টআউট নিতে হবে। সেটি নিয়ে টিকা কেন্দ্রে যেতে হবে।’
তবে ১৮ বছরের নীচে, অন্তঃসত্ত্বা, বর্তমানে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তি এবং ক্যান্সারের মতো জটিল রোগে আক্রন্ত ব্যক্তিদের আপাতত টিকা আত্ততার বাইরে রাখা হয়েছে।