পুনরায় যাচাই-বাছাই নিয়ে বগুড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষোভ

সকল জেলা

মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই নিয়ে বগুড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। বারবার যাচাই-বাছাইয়ের নামে হয়রানি এবং প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা থেকে বাদ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। অর্থের বিনিময়েও মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে সনদ দেয়ার অভিযোগও রয়েছে বগুড়ায়।

পঞ্চাশ বছরের দোড়গোড়ায় বাংলাদেশ, এখনও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে বিতর্ক। ৪৯ বছরে মুক্তিযোদ্ধাদের বয়স, সংজ্ঞা এবং মানদণ্ড পাল্টেছে ১১ বার। দফায় দফায় হয়েছে যাচাই-বাছাই। বিষয়টি গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। ২০১৭ সালে বগুড়া সদরে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া আদালতের নিষেধাজ্ঞায় স্থগিত হয়ে যায়।

আদালতের আদেশে বগুড়া সদরে আবারো শুরু হয়েছে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়া। গত ৩১শে ডিসেম্বর গেজেটধারী ২৭৩ জনকে ‘অমুক্তিযোদ্ধা’ ঘোষণা করা হয়। যাদের অনেকেই অংশ নিয়েছিলেন সম্মুখযুদ্ধে।

যাচাই-বাছাইয়ের জন্য গঠিত কমিটির সভাপতির মুক্তিযোদ্ধা সনদ নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কেউ কেউ। 

কয়েক দফা যাচাই-বাছাইয়ে স্বীকৃতি পেয়েও, প্রায় পঞ্চাশ বছর পর অনেকে হলেন অসম্মানিত।  অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধা হয়ে গেলেন অমুক্তিযোদ্ধা।

তালিকা থেকে বাদ পড়া বীর মুক্তিযোদ্ধারা আবারো আবেদন করেছেন জামুকায়।  তবে যাচাই-বাছাই নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ হয়েছে বলে দাবি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার। নতুন প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বগুড়ায় আবারো মুক্তিযোদ্ধা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম শুরু হবে ৬ ফেব্রুয়ারি।