বগুড়া সদরে ভেজাল মদের বিষক্রিয়ায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। অসুস্থ হয়ে আরও পাঁচজন হাসপাতালে।
হোমিও দোকান থেকে কেনা অ্যালকোহল পানে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি এলাকাবাসীর। পুলিশ বলছে, মদের বিষক্রিয়ায় তাদের মৃত্যু হয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সদরের পুরান বগুড়া এলাকার দুই ভাই প্রেমনাথ ও রামনাথ। তাদের এক ভাইয়ের ছেলের বিয়ে; এ উপলক্ষ্যে রবিবার রাতে তারা স্থানীয় খান হোমিও হল থেকে কেনেন অ্যালকহল। প্রথমে পান করেন দুই ভাই প্রেমনাথ ও রামনাথ; একইসাথে পান করেন প্রেমনাথের ছেলে রঙমিস্ত্রি সুমন রবিদাস ও রাজমিস্ত্রি রমজান আলী।
কিছুক্ষণ পর অসুস্থ হয়ে পড়লে রাতেই চারজনকে জিয়াউর রহমান মেডিক্যালে নেয়ার পথে মারা যান সুমন রবিদাশ ও রমজান আলী। চিকিৎসাধীন রয়েছেন প্রেমনাথ ও রামনাথ।
পুরান বগুড়া ছাড়াও সকালে কাটনারপাড়া, শিববাটি ও ভবেরবাজার এলাকায় মদপানে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়। তারা হলেন: কাটনারপাড়ার বাসিন্দা সাজু মিয়া, শিববাটির বাবুর্চি মোজাহার আলী আর ভবেরহাটের হোটেল শ্রমিক আলমগীর হোসেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, শহরের কারিতলা হাট ও পুরান বগুড়া এলাকায় বিভিন্ন হোমি হলে ব্যবহৃত অ্যালকহল অবৈধভাবে বিক্রি করছে হোমিও চিকিৎসকরা।
তবে, এই অ্যালকহলে তাদের মৃত্যু হয়েছে কি না সেজন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশ জানায়, খোলা বাজারে অবৈধ মদ বিক্রির প্রমাণ মিললে নেয়া হবে আইনি ব্যবস্থা।