বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দিতে আপত্তি নেই ‘বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন’ বা ইউজিসি’র।
তবে, আরো সময় নিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ কোরে ক্লাস শুরু করতে চায় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। আর শিক্ষার্থীরা বলছেন, অনলাইনে নয়, তারা ফিরতে চান ক্যাম্পাসে।
প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষার্থীদের নিজ নিজ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফেরানোর প্রস্তুতি চলছে। এরইমধ্যে প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকেও।
এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আর সিলেট শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকটি বিভাগে শুরু হয়েছে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ বর্ষের পরীক্ষা নেয়া। চলছে হল খুলে দেয়ার প্রস্তুতিও।
সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বেশিরভাগ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অনলাইনে ক্লাস করলেও ফিরতে চান ক্যাম্পাসে।
ইউজিসি বলছে, চলমান শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি শেষ হলে, চাইলেই ক্যাম্পাস খুলে দিতে পারবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন,’যদি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সরকারি নির্দেশনা সরকার উত্তোলন করে নেয়, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের একাডেমিক কাউন্সিল এবং সিন্ডিকেটে বিস্তারিত আলোচনা করবে এই পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কোন পরিসরে খুলবে।’
তবে, পুরোপুরি প্রস্তুত নয় জানিয়ে ক্যাম্পাস খুলে দিতে আরো সময় চায় কয়েকটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক. ড. আতিকুল ইসলাম জানান,’আমরা এখনও সেই প্রস্তুতি গ্রহণ করি নাই। প্রস্তুতি নেয়াটা খুব বেশি দিনের ব্যাপার না। তবে মানষিক প্রস্তুতি গ্রহণ করতে হবে। একটা প্লান করার ব্যাপার।’
ইস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাহিদ আকতার হুসাইন বলেন,’বিশ্ববিদ্যালয়গুলো প্রস্তুত। খুব বেশি সময় লাগবে না। কিন্তু ছাত্রদেরকে, অভিভাবকদেরকে সময় দিতে হবে।’
করোনা সংক্রমণে গত বছর ১৭ মার্চ থেকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হলেও অনলাইনে ক্লাস ও পরীক্ষার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো।