১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রিমান্ডে সু চি

আন্তর্জাতিক

আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রিমান্ডে নেয়া হয়েছে সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি’কে।

অং সান সু চির বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ গঠন করেছে মিয়ানমারের সামরিক সরকার। এমনকি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৫ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত তাকে আটক রাখা হবে বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। সু চি’র বিরুদ্ধে আমদানি-রপ্তানি আইন লঙ্ঘন এবং অবৈধ যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহারের অভিযোগ আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম বিবিসি।

সামরিক অভ্যুত্থানের পর সু চি’র নেপিদোর বাসায় চালালো অভিযানে বেশকিছু ওয়াকিটকি রেডিও জব্দ করা হয় বলে আদালতকে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। এসব ওয়াকিটকি রেডিও অবৈধভাবে আমদানি করা হয় এবং কোনও ধরনের অনুমতি ছাড়াই সেগুলো ব্যবহার হচ্ছিলো।

গেল ১ ফেব্রুয়ারি সু চি’র সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয় মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট উইন মিন্টকেও। দুর্যোগ মোকাবিলা আইনে তাকেও রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।

এদিকে, সু চি সরকারের মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের বরখাস্তের পর নতুন সরকার গঠন করেছে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী। ইতিমধ্যে ১১ জন নতুন মন্ত্রীকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। এছাড়া সামরিক অভ্যুত্থানের পর এক সাবেক জেনারেলকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানে নিন্দা জানিয়েছে বিশ্বের ধনী রাষ্ট্রগুলোর সংস্থা জি-সেভেন এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এ বিষয়ে চীন ও রাশিয়ার আপত্তিতে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি নিরাপত্তা পরিষদ। এ বিষয়ে আরও সময় নেয়া প্রয়োজন বলে অবস্থান জানায় দেশ দুটি।

অন্যদিকে, সেনা অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে ঘরের বারান্দা থেকে হাড়ি-পাতিল বাজিয়ে এবং সড়কে গাড়ির হর্ন বাজিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন ইয়াঙ্গুনে বসবাসকারীরা। অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে ধর্মঘটের পরিকল্পনা করছেন দেশটির অন্তত ২০টি হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীরা। সেনাবাহিনীর নির্দেশ না মানার আহ্বান জানিয়েছেন মিয়ানমারের সমাজকর্মীরাও।