নরসিংদীর কৃষিতে নতুন করে যুক্ত হয়েছে রাইস ট্রান্সপ্লান্ট মেশিন। পরীক্ষামূলক শুরু হয়েছে হাইব্রিড জাতের বোরো ধানের চাষ। কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় ব্লক প্রদর্শনীর ধানের চারা রোপণ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
নরসিংদী রায়পুরায় পলাশতলী ইউনিয়নে আধুনিক যন্ত্র রাইস প্লান্টারের মাধ্যমে ৫০ একর জমিতে হাইব্রিড জাতের বোরো ধানের চারা রোপণ করা হয়েছে। কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় হাইব্রিড জাতের এ বোরো ধানের চাষাবাদ শুরু হয়।
এতে করে কৃষকের যেমন খরচ বাঁচবে অন্যদিকে বাঁচবে সময়। শুধু তাই নয় ধান কাটার সময়ও ধান মাড়াইও হবে কম্বাইন হারভেস্টারের মাধ্যমে। প্রযুক্তির এমন ব্যবহারে খুশি চাষিরা। কৃষকরা আশা করছেন, নতুন এই প্রযুক্তিতে ধানের উৎপাদন খরচ কমে বাড়বে মুনাফা।
মেশিনে চাষাবাদ হওয়ায় খরচ তুলনামূলক কমার পাশাপাশি প্রযুক্তির ব্যবহারে হেক্টর প্রতি সাড়ে ১০ টন ফলনসহ সফলতা পাওয়া যাবে বলে ধারণা করছে কৃষি বিভাগ। নরসিংদী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শোভন কুমার ধর বলেন, ‘বোরো ধান লাগানো ও কাটার সময় শ্রমিকের যে সংকট হয়, সে সংকট লাঘব হবে। কারণ যন্ত্রের ব্যবহারের মাধ্যমে খরচ অনেক বাঁচানো সম্ভব হবে।’
কৃষকদের কাছে এসব মেশিন সহজলভ্য করতে ও কৃষকের কাছে পৌঁছে দিতে চাহিদা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস নরসিংদী জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইনের। তিনি বলেন, ‘সময় কম লাগে, ফলন বেশি হয় আর বিঘা প্রতি খরচ কম পড়ে। সেক্ষেত্রে মান উন্নয়ন অনিবার্য। প্রতি কৃষকদের কাছে পৌঁছে দেয়ার জন্য আমরা চাহিদাভিত্তিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। আমাদের সে ধরনের ব্যবস্থাপনা রয়েছে।’
কৃষি মন্ত্রণালয়ের খামার যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ৩ হাজার কোটি টাকার যে প্রকল্প থেকে কৃষকদের জন্য ৫০ ভাগ ভর্তুকিমূল্যে আধুনিক যন্ত্রপাতি দেয়া হবে বলে জানিয়েছে কৃষি কর্মর্কতারা।